সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের করা আবেদন খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে মওদুদের পক্ষে করা আবেদন খারিজ করে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এই আদেশের ফলে মওদুদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলাটি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
- আরও পড়ুন >> যৌন হয়রানি প্রতিরোধ : কমিটি গঠনের অগ্রগতি জানতে চেয়ে রুল
- আরও পড়ুন >> কুমিল্লায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা, দুজনের যাবজ্জীবন
- আরও পড়ুন >> ব্রাক্ষণবাড়িয়ার শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় এরশাদের মৃত্যুদণ্ড
আদালতে মওদুদের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ শুনানি করেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ০৮ এপ্রিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মওদুদের আবেদন খারিজ করে দেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মওদুদ।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, এ মামলা ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। অনেক সাক্ষীও হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৩১ মার্চ তার (মওদুদ আহমদ) একটি পিটিশনের অনুলিপি পেয়েছি, যেখানে তিনি বলছেন— হাইকোর্টে তার ফিন্যান্সিয়াল বিষয়ে মামলা আছে। সেগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে।
গত ৪ মার্চ বিচারিক আদালত এ আবেদন নাকচ করলে তিনি (মওদুদ আহমদ) হাইকোর্টে আবেদন করেন। পরে ৮ মে সেই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এই মামলার কার্যক্রম চলমানই থাকছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
ওই মামলায় ২০১৮ সালের ২১ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলাটি স্থগিত চেয়ে তিনি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।