প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড করল বাংলাদেশ। গত মাসে প্রবাসীরা যে পরিমাণ আয় পাঠিয়েছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে এত আয় আগে কখনো আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানাগেছে।মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো ১৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার আয় দেশে এসেছে। যা বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। প্রবাসী আয় আনায় এরপরই রয়েছে ডাচ বাংলা, অগ্রণী ও সোনালী ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট চলছে। এ জন্য সব ব্যাংকই প্রবাসী আয় আনার দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে। কেউ কেউ ডলারের বেশি দামে দিয়েও আয় এনেছে। ফলে আয় অনেক বেড়েছে। আবার প্রবাসী আয় বিতরণের অবৈধ চ্যানেল বা ডিজিটাল হুন্ডি বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নজরদারি জোরদার করায়ও বৈধ চ্যানেলে আয় বেড়েছে।
তথ্য মতে, মে মাসে এসেছে ১৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। এপ্রিলে এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার, মার্চে ১৪৫ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৫৯ কোটি ও ১৩১ কোটি ডলার। ফলে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এটা খুবই ভালো খবর যে, এক মাসে এত পরিমাণ আয় এসেছে। ঈদের কারণে প্রবাসীরা আত্মীয়স্বজনকে বেশি হারে টাকা পাঠিয়েছেন। দেশের আমদানি চাহিদা মেটাতে এ আয় ভালো ভূমিকা রাখবে। তবে কত দিন এভাবে আয় আসে, এসব আয় টেকসই হয় কিনা তা সময়েই বলে দেবে।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রবাসী আয়ে জোর দিয়েছে। এর ফলে রেকর্ড আয় এসেছে। এতে ডলারের সংকট কিছুটা কমবে।’
