ফজল মাহমুদের ‘পাসপোর্টকাণ্ড’: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

ডেস্ক রিপোর্ট

ফজল মাহমুদের পাসপোর্টকান্ডে এসআই কামরুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত
পাইলট ফজল মাহমুদ। ফাইল ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে কাতারে যাওয়ার ঘটনায় এবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গতকাল শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়। চার সদস্যের এ তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) মো. আজহারুল হককে।

universel cardiac hospital

এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও এ বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রয়েছেন।

পাসপোর্ট ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ নিয়ে কাতার যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে সুরক্ষা সেবা বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিকে।

তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (বহিরাগমন-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়া কীভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করছেন তা উদঘাটন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া এ ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করা, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ এবং সুষ্ঠু ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সে বিষয়েও সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।

প্রসঙ্গত, ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গত বুধবার (৫ জুন) রাতে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকা ছেড়ে কাতারের উদ্দেশে রওনা হন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের স্টাফদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে যেতে পারেননি তিনি। এরপর কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

তবে ফজল মাহমুদ দাবি করেন, তাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। ভুলবশত সঙ্গে পাসপোর্ট না নেয়ায় তিনি বিমানবন্দরের ট্রানজিট হোটেল অরিক্সে ছিলেন। পরে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) তার পাসপোর্ট পাঠানো হয়। সেই পাসপোর্ট নিয়ে গতকাল সহজভাবে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিমান নির্ধারিত ক্রাউন প্লাজা হোটেলে গিয়ে ওঠেন তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে