প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সে দেশের সরকার ফেরত নিতে চায় না বলে জানিয়েছেন । এছাড়া ভলাটিয়ার সার্ভিস দিতে আসা বিভিন্ন এনজিওগুলো চায় না রোহিঙ্গা নিজ দেশে ফিরে যাক।
আজ রোববার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো চুক্তি করেছি। সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের (মিয়ানমার সরকার) সঙ্গে যোগাযোগও আছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার আগ্রহী না। মিয়ানমারের সেনাদের নির্মম নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানে নানাবিধ উদ্যাগ গ্রহণ করা হলেও মূলত সে দেশের সরকার তাদের ফেরত নিতে চায় না।
রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট সংকটের বিষয়টি ইসলামী দেশগুলোর (ওআইসি) সম্মেলনে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সম্মেলনে এশিয়ার পক্ষ থেকে আমি বক্তব্য দিয়েছি। এতে জঙ্গিবাদ ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি।এছাড়া মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার বিষয়েও কথা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই চায় যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু মিয়ানমার তাদের নিতে চায় না। এখানেই সমস্যা হয়ে গেছে। সবাই মিলে সহযোগিতা করলে একটা ব্যবস্থা হবে। না হলে এত লোকের ব্যবস্থা করা কঠিন।
- ‘ওসি মোয়াজ্জেমের পালানোর খবর অশনিসংকেত’
- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ধাওয়ানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
- কাদের সিদ্দিকীর আল্টিমেটামের সময় বাড়লো
জাপানে সফর করেছি ও ইতোমধ্যে চীনে যাওয়ার দাওয়াত পেয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানে সফর করেছি।ইতিমধ্যে চীনে যাওয়ার দাওয়াত পেয়েছি। আগামী জুলাই মাসে যাওয়ার দাওয়াত আছে। চীনের প্রেসিডেন্ট দাওয়াত দিয়েছেন। ৩০ জুন আমাদের বাজেট পাসের ব্যাপার আছে। বাজেট পাস হওয়ার পর চীনে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সামিট। সামার সামিটটা হবে ওখানে। তখন যাব।
বহুবার বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশ থেকে বহুবার বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস থেকে তো আর মুছতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় যারা ছাত্র ছিলেন, যুবক ছিলেন, আজ তাদের অনেকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাদের একটা আগ্রহ আছে। কাজেই সেদিক থেকে চীনের সঙ্গে আমাদের একটি ভালো সম্পর্ক আছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেন। ১১ দিনের সফর শেষে শনিবার (৮ জুন) সকালে তিনি দেশে ফেরেন।