‘জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা পেলে জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে’

স্টাফ রিপোর্টার

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চাইলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা পেলে জঙ্গিবাদ সমস্যা একেবারেই নির্মূল হয়ে যাবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের মিলনায়তনে ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘হলি আর্টিজানের ঘটনার পরে মহানগরে কোনো অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ কৃতিত্বের দাবিদার শুধু পুলিশ নয়; নগরীর জনগণও। একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জনগণ যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করছে সেভাবে যদি জনপ্রতিনিধিরাও সহযোগিতা করে তাহলে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ থাকবে না এদেশে। তাই এজন্য জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।’

‘আমরা সন্ত্রাসীদের অভিযান করে গ্রেপ্তার করি। তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়ে বিচারের প্রত্যাশা করি। কিন্তু বিচার কাজের দীর্ঘ সূত্রতার কারণে অপরাধীরা জামিনে বেরিয়ে ফের একই কাজে লিপ্ত হয়। তাই অভিভাবকরাও সতর্ক থাকতে হবে আপনার সন্তান আবদ্ধ রুমে ইন্টারনেটে কী করছে সে বিষয়। কারণ ইন্টারনেটে শান্তির ধর্ম ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মের নামে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে কেউ কেউ। আর এটিকে ঘিরেই সৃষ্টি হচ্ছে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের।’

তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিবাদের কোনো ভয়-ভীতি বা হুমকিতে কেউ ভয় পাবেন না। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিরা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠার কোনো সুযোগ নেই। তবে সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ অপশক্তি রোধে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। উগ্রবাদ প্রতিরোধে আমাদের এক দশক সময় লেগেছিল।’

কমিশনার বলেন, আগে নগরীর অসুবিধা সমাধানে চিঠি চালাচালি করতে করতে দুদিন পার হয়ে যেতো। কিন্তু এবার আমরা সিটি করপোরেশন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটা হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপ চালু করেছি। ফলে নগরীর কোনো সড়কে পানি জমলে কিংবা রাস্তা ভাঙা বা অন্য যেকোনো সমস্যায় সবাই মুহূর্তের মধ্যে সেখানে পৌঁছাতে পারছে এবং কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে