ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার করেছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সদরঘাটের এক নম্বর পন্টুন বরাবর মাঝ নদীতে পূবালী-৫ লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় মেশকাত (১২) এবং তার বোন নুসরাত (৭) পানিতে তলিয়ে যায়। বেলা সোয়া ১১টা ও সাড়ে ১১টায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি মো. রেজাউল জানান, এক নম্বর পন্টুন বরাবর নদী থেকে প্রথামে মিশকাতের লাশ উদ্ধার করেন নৌবাহিনীর ডুবুরিরা। কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা এর কাছাকাছি এলাকায় নদী থেকে নুসরাতের লাশ উদ্ধার করেন।
ওই দুই শিশুর বাবা বাবুল ফরাজী কেরানীগঞ্জে ব্যবসা করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তমপুর গ্রামে। মেশকাত ও নুসরাত বরিশালে গ্রামের বাড়িতে বেড়ানো শেষে মামা শামীম হাওলাদারের সঙ্গে শুক্রবার ভোরে ঢাকায় ফেরেন। সদরঘাটে পৌঁছানোর পর নৌকায় করে কেরানীগঞ্জের বাসায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শামীম হাওলাদার বলেন, নৌকায় আমার বোন জোসনা, ওদের তিন সন্তান মেশকাত, নুসরাত ও এক বছর বয়সী নুসাইবা ছিল। মাঝ নদীতে এমভি পূবালী-৫ লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। নুসাইবা আমার কোলে ছিল। ধাক্কা লাগার পর দেখি আমরা লঞ্চের নিচে। কোনো রকমে সাঁতরে বের হই। জোসনাও বের হয়। কিন্তু মেশকাত ও নুসরাত ডুবে যায়।
খবর পেয়ে মেশকাতদের বাবা বাবুল ফরাজী কেরানীগঞ্জ থেকে সদরঘাটে ছুটে আসেন। পুলিশ ও ঘাটে থাকা নৌকাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা এবং কোস্ট গার্ড ও আইডব্লিউটিএ-এর উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি অভিযানে অংশ নেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক মো. সেলিম বলেন, পূবালী-৫ লঞ্চটি সদরঘাটে যাত্রী নামিয়ে কেরানীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। নৌকাটি লঞ্চের পেছন দিয়ে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাঝি দেখেশুনে চালালে এ বিপদ হত না।