ভারী বর্ষণের পাশাপাশি উজান থেকে প্রবল স্রোত নামার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে অন্তত ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এজন্য ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ৬২৮টি পয়েন্ট ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, এর মধ্যে ২৬টি পয়েন্ট ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’। তবে সরকার ৫২১টি পয়েন্টকে ঝুঁকিমুক্ত করতে দ্রুত কাজ করছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী জানান, মানিকগঞ্জ ও জামালপুরে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। লালমনিরহাটেও তিস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে এসব মোকাবিলায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
প্রত্যেকটি বন্যা-উপদ্রুত জেলায় প্রথমে ২০০ মেট্রিক টন এবং পরে ৩০০ মেট্রিক টন খাবার পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ডা. এনামুর রহমান। তিনি আরও জানান, প্রত্যেক জেলায় ২ হাজার প্যাকেট উন্নতমানের শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেডিকেল টিম গঠন করে কাজ করছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা মাঠ পর্যায়ে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং পরিস্থিতি তদারকি করছেন।