পাবনার শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম মানসিক রোগী এক তরুণীকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে। তরুণী নিজে থেকে কোনো কথা বলেন না। আবার প্রশ্ন করলেও কোনো উত্তর দেন না।
আশ্রম কর্তৃপক্ষ বলছে, এই তরুণীকে নিয়ে তার মা আশ্রমে আশ্রয় গ্রহণের পর সুযোগ বুঝে মেয়েকে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আশ্রম কর্তৃপক্ষ পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সারাদেশ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানসিক রোগী চিকিৎসার জন্য পাবনার হেমায়েতপুরে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র আশ্রম সংলগ্ন পাবনা মানসিক হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে স্থান সংকুলান সাপেক্ষে নতুন রোগী ভর্তি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
যারা ভর্তি হতে পারেন না কিংবা অসময়ে আসেন তাদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে আসছে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম কর্তৃপক্ষ।
গত ১২ জুন এক তরুণী মানসিক রোগীকে নিয়ে আশ্রমে আশ্রয় নেন তার মা। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে মেয়েকে ফেলে রেখে তার মা পালিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই তরুণীকে নিয়ে বেকায়দাই আছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ।
- রোহিঙ্গা ইস্যু : মিয়ানমারের তদন্ত দল উখিয়ায় যাচ্ছেন
- কাশ্মীরের ক্রিকেটারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার রায় গণমাধ্যমকে বলেন, আশ্রমে যারা আশ্রয় নেন রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তাদের বিস্তরিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু এই রোগী আশ্রয় গ্রহণের পরপরই তার মা অন্য রোগীর স্বজনদের কিছু সময়ের জন্য তাকে দেখে রাখার কথা বলে পালিয়ে যায়। এ কারণে তার তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তার নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা যায়নি। এ ব্যাপারে তিনি সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। মেয়েটির ছবি বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের পাওয়া গেলে তাদের কাছে মেয়েটিকে তুলে দেওয়া হবে।