গাফিলতি করা সেই প্রকৌশলীর শাস্তি নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মত ও পথ রিপোর্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা

‘মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

universel cardiac hospital

এ প্রকল্পের এক কর্মকর্তা গাফিলতি করেছিলেন উল্লেখ করে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকল্পের ভুল অ্যাসেসমেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সড়ক নির্মাণের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে, বর্ষার সময় পানির প্রবাহ আটকে না থাকে।

এ প্রকল্পে যাকে প্রকৌশলী নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি সেখানকারই আরেকটি প্রকল্পের প্রকৌশলী ছিলেন। তার গাফিলতির কারণে সরকারকে প্রচুর অর্থ গচ্চা দিতে হয়েছিল। যার কারণে সরকারের ক্ষতি হয়েছিল। তাহলে তার তখনকার ভুলের জন্য কি শাস্তি দেওয়া হয়েছে? সেই প্রকৌশলী কীভাবে আবার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক হলেন, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় পানিসম্পদমন্ত্রী এবং সচিব কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী ও সচিব বলেন, একনেক থেকে ফিরে গিয়েই তারা ওই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি ও বিধিবিধানগত ব্যবস্থা শুরু করবেন।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব আলোচনা হয়।

একনেক সভায় এদিন ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জোরদারকরণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় কার্গো প্লেন কেনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবজি রপ্তানি করা হচ্ছে। এ কাজে আমরা কার্গো প্লেন ভাড়া করছি। তাই, দু’টি হিমায়িত কার্গো প্লেন কেনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, একনেক সভায় ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

সভায় বিদ্যুতের লাইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে সব বিদ্যুৎলাইন মাটির নিচে স্থাপন করতে হবে। কেননা এসব গেট মরিচা পড়ে কয়েক দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। আর কাজ করে না। তাই একেবারেই অপরিহার্য না করে এসব গেট নির্মাণ করা যাবে না।

নানা দিক-নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৃষ্টির পানিতে ভাঙন রোধে পার্বত্য এলাকায় সড়কের উভয় পাশে চিকন বাঁশ রোপণ করতে হবে। নদীভাঙন রোধে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে জোর দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে