আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু মন্তব্য করেছেন, জিয়াউর রহমানই প্রথম গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া হত্যা করেছিলেন।
তিনি বলেন, যারা আজকে বড় বড় কথা বলে এই দেশের গণতন্ত্র হত্যা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া তারাই ধ্বংস করেছিলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘এক হোন্ডা, দুই গুন্ডা, এক স্টেনগান’ দিয়ে জিয়াউর রহমান প্রথমে হ্যাঁ-না ভোট, রাষ্ট্রপতি ভোট, পরে সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করেন। এরই মাধ্যমে তিনি দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ও মানুষের ভোটের অধিকার ধ্বংস হয়।
আজ শনিবার বিকেলে ঝালকাঠিতে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের রোনালসে সড়কে জেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল, বাংলাদেশ নয় মন্তব্য করে আমু বলেন, চারটি মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে সংবিধান থেকে চার মূলনীতি ছুঁড়ে ফেলে হলো। বাংলাদেশের সংবিধানে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো কথা ছিল না। কারণ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে সাম্প্রদায়িকতা মানবতার শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। সাম্প্রদায়িকতা উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে।
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে পরিবর্তন করার জন্য স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। সেই অপশক্তি এখনো সক্রিয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা তারা মেনে নিতে না পারায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
- সরকারকে সাক্ষ্য আইন সংশোধনের অনুরোধ দুদক চেয়ারম্যানের
- কাশ্মীর বিতর্কের মধ্যেই আমিরাতের সর্বোচ্চ সম্মাননায় ভূষিত হলেন মোদি
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রশিদ হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ কর্মকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম জাকির, কামাল শরীফ, হাফিজ আল মাহমুদ ও সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন।
![](https://cloud.matopath.com/mop/2022/03/onnesha-ad.jpeg)