রাজনীতিকে যদি সঠিক পথে নিতে পারি, যদি আরও বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করতে পারি, সব দেশপ্রেমিক দলকে যদি এক করতে পারি তাহলে অবশ্যই বিজয় আসবে। সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করতে পারলেই বিজয়ী হওয়া সম্ভব।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে কাজী জাফর আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহত্তর ঐক্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছে। প্রশাসন একেবারে দলীয়করণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দলীয়করণ, বিচার ব্যবস্থাকে সরকার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে। যার ফলে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রটাই ভেঙে পড়েছে।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে চলে গেছে। এ অবস্থার মধ্যেও জনগণের রাজনীতি করতে হবে। দেশের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির রাজনীতিও কখনও পরাজিত হয়নি। খারাপ সময় এসেছে, নিচের দিকে গেছি, সংকট এসেছে কিন্তু সেই সংকট থেকে ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠেছি। এটা বাস্তবতা, বাড়িয়ে বলছি না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। দেশের ইতিহাসে এত সংকটময় মুহূর্ত কখনও এসেছিল বলে মনে হয় না। সব অর্জন যা রক্ত দিয়ে একাত্তর সালে যুদ্ধ করে, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে অর্জন করেছি তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন গণতন্ত্রের নামে ক্ষমতাসীনরা একেবারেই মিথ্যা কথা বলছে। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার বাজেট দেয়। সেই বাজেটে মানুষের পকেট খালি করে। এমনভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করে, চোর আরও বড় চোর হয়, লুটেরা আরও বড় লুটেরা হয়। ব্যাংকগুলো ফোকলা করে দিয়েছে, শেয়ার মার্কেট বলে কিছু নেই, ধ্বংস করে দিয়েছে।
- মোদি মুসলমানদের জাতিগতভাবে নির্মূল করতে চায় : ইমরান খান
- জনগণের কল্যাণে কাজ করতে ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট ভয়াবহ। এর ভবিষ্যৎ বলা বড় মুশকিল। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে এতটুকু ব্যবস্থা করতে পারেনি। যারা নেওয়ার ব্যবস্থা করবে তাদের সঙ্গেই তো সমাধান করতে পারেনি।
আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নঈম জাহাঙ্গীর, বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।