অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক। এক সময় পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালেও বর্তমানে তাদের আচরণে আমূল পরিবর্তন এসেছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, এপ্রিলে বসন্তকালীন বৈঠকের সময় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে অনেক সম্মান দেখিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশকে পূর্ণ সময়ের জন্যে একটি অফিস দিয়ে দিতে চেয়েছে সংস্থাটি। বিষয়টি একবারে ব্লাংক চেক দিয়ে দেয়ার মতো, অনেকটা। তাদের অ্যাটিটুড ছিল, তোমাদের যা দরকার নিয়ে নাও।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর নিজ কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের দেওয়া আশ্বাস প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে প্রকল্প তৈরি ও অর্থায়নে প্রস্তুত। যতো অর্থের প্রয়োজন হোক না কেন, তা দিতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক। সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের পরমর্শও নেবো আমরা। দেশে ৮৮ শতাংশ ব্লু-ইকোনোমি কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এখাতে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ডেল্টাপ্ল্যান প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডের পাশাপাশি ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক এগিয়ে আসবে। এখাতে অর্থ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা দেবে তারা। ফলে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। ডেল্টাপ্ল্যানে যদি ভারতও আসতে চায়, তবে স্বাগত জানাবো।
সড়ক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে। বাংলাদেশের সড়ক উন্নয়নে যতো টাকার প্রয়োজন, ততো দেবে সংস্থাটি। সড়কে বাস-বে, সড়কের পাশে চালকদের জন্য বিশ্রামাগারসহ নানা উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। এসব দেখে প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংক।
নতুন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করবে সংস্থাটি। বাংলাদেশের বিষয়ে সংস্থাটির ইতিবাচক ধারণা হয়েছে। আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্থাটি অর্থায়ন করতে প্রস্তুত।
এ সময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, আমি বাংলাদেশকে নিজেই চিনে নিয়েছি। সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের সকল স্থানে ঘুরেছি। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সুবিধাসহ আর্থিক বিষয়ে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। নদী, পানি ও ব্লু-ইকোনোমিতে বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। মূলত আমি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ব্র্যান্ডিং করতে এসেছি। ব্লু-ইকোনোমির ৮৮ শতাংশ কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।