জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে শোচনীয় পরিস্থিতি ও ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের সমস্ত ঝুঁকি বিবেচনা করে জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আইএমএফ বুধবার তাদের সর্বশেষ বৈশ্বিক অর্থনীতির মূল্যায়ন বিষয়ক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের এখন উন্নয়নশীল দেশ। তবে সেখান থেকে মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় উঠতে গেলে দেশটিকে কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হবে।

আইএমএফ জানাচ্ছে, কয়েকটি সূচকে দেখা গেছে ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সময়ে বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে শীর্ষ দশ দেশের একটি বাংলাদেশ। তাই ১৯৯০-২০০৮ মেয়াদে দেশটির সম্ভাব্য বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ জিডিপির ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে বাংলাদেশর মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ বাস্তচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির ১৭ শতাংশ স্থলভাগ জলাভূমিতে পরিণত হবে। ফলে খাদ্য উৎপাদন কমবে ৩০ শতাংশ।
- যাকে ধরবে তাকেই বহিষ্কার করা হবে : যুবলীগ চেয়ারম্যান
- রিফাত হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৮ জনের বিরুদ্ধে ১৬ মামলা
তবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ অন্য দেশগুলোর চেয়ে বেশ ভালো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ গোটা বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের মাত্র ০.৩৫ শতাংশের জন্য দায়ী। তথাপি তারা উল্লেখ করার মতো পদেক্ষপ নিচ্ছে।
অবশ্য বাংলাদেশকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। যার মধ্যে অন্যতম ধারাবাহিকভাবে জ্বালানি ভর্তুকি সংস্কার। মূল্যবান জ্বালানি ভর্তুকি পর্যায়ক্রমে কমানো এবং এক সময়ে সম্পূর্ণ তুলে দেয়ার পক্ষে তারা। এর পরিবর্তে দরিদ্রদের কাছে নির্দিষ্ট উপায়ে ভর্তুকির অর্থ হস্তান্তরের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
14 - 14Shares
