সৌদি আরবে আরও তিন হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন সেনা
মার্কিন সেনা। ফাইল ছবি

সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় গত মাসে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সৌদি সরকারের অনুরোধে দেশটিতে সেনা বাড়াতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে চিরবৈরী ইরানকে দায়ী করছে সৌদি।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেন, দুই স্কোয়াড্রন যোদ্ধা ও অতিরিক্ত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যাটারি সৌদি আরবে পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সর্বমোট তিন হাজার সেনা সেখানে পাঠানো হচ্ছে।

universel cardiac hospital

কাজেই প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি, একটি থাড দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও একটি বিমান অভিযাত্রী শাখাসহ দুটি ফাইটার স্কোয়াড্রন পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছেন এসপার।

লোহিত সাগরে একটি ইরানি তেল ট্যাংকারে শুক্রবার সম্ভাব্য জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই উদ্যোগের খবর এসেছে।

ইরান এই হামলার জন্য কোনো দেশকে দায়ী না করলেও মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এ ঘটনায় নজর রাখছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

এসপার বলেন, সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শুক্রবার তিনি কথা বলেছেন। এতে ইরানের হামলার বিরুদ্ধে সৌদিকে সুরক্ষায় মার্কিন সক্ষমতা নিয়ে তারা কথা বলেন।

তিনি বলেন, সৌদি আরবে সাম্প্রতিক হামলায় ইরান দায়ী, এটা খুবই পরিষ্কার। ইরান অস্বীকার করলেও এ যাবত যত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে এটাই প্রমাণ করে যে ইরানই এই হামলা চালিয়েছি।

‌মধ্যপ্রাচ্যে ১৪ হাজার সেনা বাড়ানোর মাধ্যমে অঞ্চলটিতে মার্কিন সেনা উপস্থিতি ৭০ হাজার পৌঁছাল বলে জানালেন এসপার। ইরানি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় অঞ্চলটিতে এসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি প্রয়োজন হয়, মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুত সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মেরিন ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটসকে সতর্ক করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে