জনগণ ভোট না দিলে বিরোধী দল টেনে নামাতো : শেখ হাসিনা

মত ও পথ প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কথায় কথায় কী? ভোট দিয়ে এই সরকার আসে নাই। জনগণের ভোটেই যদি নির্বাচিত না হতাম তাহলে তো খালেদা জিয়াও ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন ভোট করেছিল। জনগণ ভোট দেয় নাই। সারা দেশে আর্মি নামিয়ে এবং সমস্ত এজেন্সি দিয়ে ফলাফল ঘোষণা করে সে ঘোষণা করলো তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। সেই তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী কত দিন ক্ষমতায় ছিল? দেড় মাস, দুই মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই।

আজ শনিবার রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন পারে নাই? ভোট চুরি করেছিল বলে জনগণ টেনে নামিয়েছিল আন্দোলন করে। তখন আমরা ওই নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। যার জন্য খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। আজকে যদি জনগণ আমাদের ভোট না দিত তাহলে তো বিরোধী দল আন্দোলন করে আমাদের নামাতে পারতো। এই পর্যন্ত তারা তো কিছুই করতে পারলো না।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা করবে কীভাবে? তারা তো নির্বাচনটাকে নিয়েছিল একটা বাণিজ্য হিসেবে। এক সিট বিক্রি করেছে তিনজনের কাছে। তিনজন টাকা খাইছে। কেউ লন্ডনে টাকা নিয়েছে, কেউ নিয়েছে গুলশান অফিস থেকে। কেউ নিয়েছে পল্টন অফিস থেকে।

তিনি বলেন, যাদের ভোট চুরির অভ্যাস। দেখলাম তাদের এক নেতা খুব বক্তৃতা দিচ্ছেন এই সরকার ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেনি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই উনি কবে কখন কোন নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী ছিলেন? যখনই অবৈধভাবে যে ক্ষমতায় আসছে সে তার সাথে চলে গেছে মন্ত্রী হতে।

ফেনী নদীর পানি বণ্টন-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ডার এলাকার নদী মানে নদীতে সমান অংশীদার ভারত এবং বাংলাদেশ। সেখান থেকে তারা একটু খাবার পানি নেবে। সেইটা দিয়েই নাকি নদী বেঁচে দিলাম, নদী বেঁচে দিলাম। খুব আন্দোলন, স্লোগান, বক্তৃতা। একটা মানুষ যদি পান করার জন্য পানি চায়, দুশমন হলেও তো মানুষ তাকে পানি দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, সেটার জন্য এত কান্নাকাটি করার কী আছে? যারা এত কাঁদছেন তাদের জিজ্ঞেস করি, গঙ্গার পানি কোথায় আনবার কথা, খালেদা জিয়া দিল্লি যেয়ে ভুলে গেল। কেউ তো আনলো না! তিস্তায় ব্যারাজ দিল ইন্ডিয়ারে শিক্ষা দেবে। এখন শিক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে পানি ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে। এই নীতি ছিল এরশাদের।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান গিয়ে ওই হাঁটু গেড়ে বসে থাকলো। তার ক্ষমতাটা নিরঙ্কুশ করতে। কোনো কথা বলতে পারলো না। যা বললো হুবুহু তাই শুনে আসলো। যদি ন্যায্য অধিকার আদায় করে থাকি, আমি শেখ হাসিনা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা এনেছি। আমরা পানির চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের যে বর্ডার স্থল সীমানা চুক্তি আমরা করেছি। সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার আমরা রক্ষা করতে পেরেছি। লাভ-লোকসান হিসাব করলে বাংলাদেশেরই লাভ বেশি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মাঝে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য জ্ঞানপাপীরা জেনেশুনেই কথা বলে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে