দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপাসরন খালেদা জিয়ার মানবিক কারণে জামিন পাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে নিজ চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার জামিনের আপিল শুনানির দিন ধার্য আছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য। আজকের সভায় স্পষ্টভাবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভায় খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ৬৬৪ দিন ধরে বন্দি রাখা হয়েছে বলে সভায় মত এসেছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, যে মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা অন্যায়। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আমরা তার আশু মুক্তি দাবি করছি। এ দাবি মানবিক এবং তিনি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন।
অন্যথায় তার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর বর্তাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমরা ২২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, তিনি আইজি প্রিজনকে বলে দিয়েছেন। আমরা নামের তালিকা পাঠিয়েছি। কিন্তু খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারা একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।