চালু হলো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃক্ষের ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রি-অ্যাকটিভ অ্যাপ্রোচ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং প্রো-অ্যাকটিভ অ্যাপ্রোচ অনুসরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন করার জন্য ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার অত্যন্ত যুগান্তকারী একটি উদ্যোগ। ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াবে এবং খাবার নিরাপদ বা অনিরাপদ কি না তা পরীক্ষা করবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষাগার দূষণের ও ভেজালের বিভিন্ন উৎস সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন করবে এবং কীভাবে আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপদ রাখতে পারি তাও প্রদর্শন করবে। শহরের সব স্তরের মানুষকে সচেতন করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি মাইলস্টোন। ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
পর্যায়ক্রমে প্রতি জেলায় এ ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার তৈরি করা হবে জানিয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, এ পরীক্ষাগারের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার বিষয়টি আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অতি লোভ ও মুনাফার জন্য একদল ভেজালকারী খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। এ ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব রয়েছে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, ভেজালের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সচেতন হতে হবে প্রতিটি মানুষকে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে ভোক্তার পাত পর্যন্ত খাদ্য শৃঙ্খলের প্রতিটি পর্যায়ে কাজ করতে হবে। এ কাজে কৃষক থেকে শুরু করে খাদ্যশিল্প, কাঁচাবাজার, পথে খাবার বিক্রেতা, খাদ্য ব্যবসায়ী, সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, জাতিসংঘ, এনজিও, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, পরীক্ষাগার, বেসরকারি ও সরকারসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। ভেজালের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশের প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, ইউএসএআইডি’র প্রতিনিধি ডক্টর ওসাগিসহ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, সহযোগী মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন এজেন্সির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।