সচিবালয়ের চারপাশ ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে কার্যকর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ‘নীরব এলাকা’ বাস্তবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করায় জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড় ও সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন হর্ন বাজাতে পারবে না। আইন ভেঙে এই এলাকায় হর্ন বাজালে আগামীকাল (বুধবার) থেকে শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে সচিবালয়ে চারপাশকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখান থেকেই আমরা শুরু করব। পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে এটা কার্যকর করব।’
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে আমরা সচিবালয় ও এর চারপাশের সড়কগুলোকে শব্দ দূষণমুক্ত নীরব এলাকা ঘোষণা করলাম। এ বিষয়ে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
কাল থেকে সচিবালয়ের চারপাশের সড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬’ অনুযায়ী ‘নীরব জোন’ এলাকায় হর্ন বাজালে প্রথমবার সর্বোচ্চ ১ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ পরবর্তী সময়ে করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীনে প্রণীত ‘শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬’ অনুযায়ী ‘নীরব এলাকা’ বলতে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত বা একই জাতীয় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এবং এর চারিদিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাকে বোঝায়।
- আরও পড়ুন >>মার্কিন সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি তুরস্কের
- আরও পড়ুন >> আ.লীগের সম্মেলন: কমিটিতে স্থান পাবেন ক্লিন ইমেজের নেতারা
- আরও পড়ুন >> রাজাকার তালিকা: প্রধান প্রসিকিউটরের নাম ওঠায় সমালোচনা
হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে নীরব এলাকার বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আমরা সেখানেও বাস্তবায়নে যাব।’
এরপর মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোভার স্কাউটদের নিয়ে সচিবালয়ের চারপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় মন্ত্রীকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। মন্ত্রী স্লোগান দেন- ‘হর্ন বাজানো, হর্ন বাজানো’; অন্যরা বলেন- ‘বন্ধ কর, বন্ধ কর’। আবার মন্ত্রী বলেন, ‘শব্দ দূষণ, শব্দ দূষণ’; অন্যরা বলেন- ‘বন্ধ কর, বন্ধ কর’।