হঠাৎ পদত্যাগ করলেন জাতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। ক্রিকেট পাড়ার গুঞ্জন নয়। হাওয়া থেকে পাওয়া উড়ো খবরও না।
একদম ভেতরের খবর। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, কোচ নিয়োগ থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ এবং ক্রিকেটারদের সমূদয় দায় দায়িত্ব যে স্ট্যান্ডিং কমিটির ওপর ন্যাস্ত, সেই ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান নিজে দিয়েছেন এ তথ্য।
বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান জানান, ‘জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট চাকরি ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে এরই মধ্যে বিসিবিতে ইস্তফাপত্র দিয়েছে।
অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকান আমাদের (বিসিবিকে) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করতে চান না। তাই তিনি বোর্ডে অব্যাহতিপত্র দিয়েছেন।
দায়িত্ব নিয়েছেন ছয় মাসও হয়নি। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে দিনক্ষণের হিসেব কষলে ৫ মাস পুরো হয়নি। এর মধ্যে হ্যাঁ থেকে না হয়ে যাচ্ছেন ল্যাঙ্গাভেল্ট। প্রায় বিনা নোটিশে হঠাৎই জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানো। কিন্তু কেন?
তবে কি বাংলাদেশের বোলিং কোচের পদ উপভোগ করছেন না ল্যাঙ্গাভেল্ট? নাকি বাংলাদেশের ফাস্ট বোলারদের মান ও উইকেট নিয়ে আছে অসন্তোষ?
এমন প্রশ্নর উদ্রেক কিন্তু ঘটেছে। কিন্তু আকরাম খান জানালেন, না না, ওসব কিছুই না। চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট আসলে দক্ষিণ আফ্রিকান জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচের অফার পেয়েছেন। তাই তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করতে চান। আর সে কারণেই বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজ দেশের জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ হতে আগ্রহী। আর সে কারণেই বোর্ডে চিঠি দিয়ে চাকরি ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন এ প্রোটিয়া।’
বোর্ড কি এরই মধ্যে তার ইস্তফা বা পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে? বিসিবি কী তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে?
এমন প্রশ্নর জবাবে আকরাম খান জানান, বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাকে হ্যাঁ বা না কিছুই জানানো হয়নি। আমরা নিজেরা বসে ঠিক করব আসলে কী করা যায়। ’
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ল্যাঙ্গাভেল্টকে জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ করা হয়েছিল। তার মানে ৫ মাস পূর্ণ হবার আগেই চলে যাচ্ছেন ল্যাঙ্গাভেল্ট।