বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ছুটই চলছে খুলনা টাইগার্সের জয়রথ। রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষেও দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে তারা। উত্তরের দলটিকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন মুশফিক বাহিনী। এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসরে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন তারা। সেখানে হারের বৃত্তে বন্দি থাকল রংপুর। নিজেদের ৪ ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ নিল তারা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। শুরুতেই মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরে রাইলি রুশোকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ক্রিজে সেট হয়ে দুজনই রংপুর বোলারদের ওপর তোপ দাগাতে শুরু করেন।
তাতে হু হু করে বাড়ে খুলনার রান। কিন্তু হঠাৎ থেমে যান রহমানউল্লাহ। অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে মুকিদুল ইসলামকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। ফেরার আগে ২২ বলে ৪ ছক্কার বিপরীতে ১ চারে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আফগান রিক্রুট।
রহমানউল্লাহ ফিরলেও থেকে যান রুশো। তাণ্ডব চালাতেই থাকেন তিনি। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন মুশফিকুর রহিম। পথিমধ্যে আসরে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন রুশো। এরপরও তুলোধুনো করেন তিনি। মাঝে মধ্যে ঝলক দেখান মুশফিক। তাতে ৪৫ বল হাতে রেখেই হ্যাটট্রিক জয় তুলে নেয় খুলনা।
৬৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রুশো। মাত্র ৩১ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় বিস্ফোরক ইনিংসটি সাজান তিনি। অপর প্রান্তে ১৭ রানে টিকে থাকেন মুশফিক।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে মোহাম্মদ নবীর রংপুর। তবে শুরুটা শুভ হয়নি তাদের। ভূমিকাতেই মোহাম্মদ আমিরের শিকার হন মোহাম্মদ শাহজাদ।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে না ওঠার আগেই শফিউল ইসলামের উইকেট হয়ে ফেরেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। সেই রেশ না কাটতেই একই বোলারের বলে সাজঘরের পথ ধরেন নাদিফ চৌধুরী।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। তবে একপ্রান্ত আগলে থাকেন নাঈম শেখ। ফজলে মাহমুদকে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। সঙ্গ পেয়ে দারুণ খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। ব্যাটে ছোটান স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তবে দুর্ভাগ্য তার। সতীর্থের সঙ্গে ক্ষণিকের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি।
মাত্র ১ রানের জন্য আসরে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিতে পারেননি নাঈম। ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। এতে ফের চাপে পড়ে উত্তরবঙ্গের দলটি। এ অবস্থায় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। মোহাম্মদ আমিরের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
- পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ২৬ কোটি ৬৭ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস!
এরপর লুইস গ্রেগরিকে নিয়ে খেলা ধরেন ফজলে মাহমুদ। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তারা। দুর্দান্ত খেলেন মাহমুদ। যথার্থ সমর্থন দেন গ্রেগরি। তাতে মাঝারি স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে রংপুর। তবে শফিউল ইসলামের বলে ফজলে ফিরতেই তা ভেস্তে যায়। ফেরার আগে ৩৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৪২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি।
খানিক পর রানআউটে ফিনিশ হন তাসকিন আহমেদ। সেই জের না কাটতেই শহিদুল ইসলামের বলে ক্লিন বোল্ড হন মোস্তাফিজুর রহমান। আর ইনিংসের শেষ বলে একই বোলারকে উইকেট দিয়ে আসেন গ্রেগরি। তিনি ২০ বলে ২ চারে করেন ২২ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৭ রান করে রংপুর। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শফিউল।