বঙ্গবন্ধু বিপিএল : দেশি ক্রিকেটারদের অর্জন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু বিপিএল

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের প্রাপ্তির খাতাটা একেবারে কম নয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের পাল্লা দিয়ে দেশি ক্রিকেটাররাও সমান তালে এগিয়েছেন। কখনও কখনও বিদেশিদের ছাড়িয়ে আলো ছড়িয়েছেন দেশি খেলোয়াড়রা।

শেষ পর্যন্ত বোলিংয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। আর ব্যাটিংয়ে মাত্র ৪ রানের জন্য শীর্ষস্থান হারিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

universel cardiac hospital

প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য থাকে সে দেশের নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরি করা আর বিদেশি খেলোয়াড়দের সাথে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করা। এ হিসেবে প্রায় প্রতিটি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশই বছরে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে থাকে।

সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও আয়োজন করা হয় বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএল। বিদেশি অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে এ সমস্ত টুর্নামেন্ট থেকে বেরিয়ে এসেছেন অনেক ক্রিকেটার। তবে হিসেব থাকে বিদেশি ক্রিকেটারদের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশি ক্রিকেটাররা কতটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন। অন্য যেকোনো বারের মতোই এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলেও দেশি ক্রিকেটাররা আলো ছড়িয়েছেন।

দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য বোলার কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান বিপিএলের মাধ্যমে নিজেকে আবারও খুঁজে পেয়েছেন। সমালোচকদের জবাব দিয়ে অর্জন করেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির খেতাব। ১৫.৬০ গড়ে ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার করেন তিনি।

শুধু মুস্তাফিজই নয়, আসর-জুড়ে দারুণ বোলিং করেছেন আরও কয়েকজন দেশি বোলার। তার সমান ২০টি উইকেট পেয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেন। বিপিএলের গত আসরেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২টি উইকেট শিকার করেছিলেন রুবেল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন এবারও।

বোলিংয়ের সেরা পাঁচে আছেন আরেক দেশি পেসার শহীদুল ইসলাম। খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলা এ ডানহাতি বোলারের শিকার ১৯টি উইকেট। এছাড়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তরুণ বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা শিকার করেছেন ১৮টি উইকেট।

সব মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সেরা ছয় উইকেট শিকারির চারজনই হলেন বাংলাদেশি। আর ১৪ উইকেট নিয়ে তালিকার ১০ নম্বরে আছেন ইবাদত হোসেন।

বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও কম যায়নি দেশি ক্রিকেটাররা। সিরিজের বেশির ভাগ সময় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে ছিলেন খুলনা টাইগার্সের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তবে ফাইনালে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে তাকে টপকে শীর্ষ হয়েছেন তারই সতীর্থ রাইলি রুশো। ১৫৫.১৭ স্ট্রাইকরেটে ৩১৯ বলে রুশোর সংগ্রহ ৪৯৫ রান। আর ১৪৭.০১ স্ট্রাইকরেটে রুশোর চেয়ে ৫ বল কম খেলে মুশফিক করেন ৪৯১ রান।

সেরা পাঁচ জনের মধ্যে ৪ নম্বরে আছেন রাজশাহীর লিটন দাস। ৩৩৯ বল খেলে তার সংগ্রহ ৪৫৫ রান। তবে এর চেয়েও বড় সুখবর হলো সেরা ১০ ব্যাটসম্যানের মধ্যে সাতজনই বাংলাদেশি। দুইয়ে মুশফিক, চারে লিটন, ছয়ে ইমরুল কায়েস, সাতে তামিম ইকবাল, আটে আফিফ হোসেন, নয়ে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও ১০ নম্বরে আছে মোহাম্মদ মিথুনের নাম।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে