জানুয়ারি মাসে চীনের আমদানি-রফতানির হালচাল কেমন ছিল তা ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করার কথা ছিল দেশটির। তবে সেটি করা হচ্ছে না। চীনের শুল্ক প্রশাসন বলছে, আগামী মাসে ফেব্রুয়ারির তথ্যের সাথে সমন্বয় করে একসাথে জানুয়ারির তথ্যও প্রকাশ করা হবে।
শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে এ তথ্য প্রকাশিত হবে। জানুয়ারির তথ্য যে আজ প্রকাশিত হবে না এমন কোনো ঘোষণাও আগে দেয়া হয়েছিল না। ফেব্রুয়ারির বাণিজ্যের তথ্যে প্রকাশের জন্য মার্চের ৭ তারিখ দিন ধার্য রয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো উৎপাদন, খুচরা পর্যায়ে বিক্রয়সহ বেশ কিছু অর্থনৈতিক সূচক তুলে ধরবে। চীনা নববর্ষকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া ছুটির পর অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে তাই এসব তথ্যের সঙ্গে আমদানি-রফতানির তথ্যের সমন্বয় করা হচ্ছে।
একেক বছর চীনে একক সময়ে উদযাপিত হয় তাদের নববর্ষ। ওই সময়টাতে দেশটির অনেক ফার্ম বন্ধ থাকে। সব মিলিয়ে এই নববর্ষের সময়ে দেশটিতে উৎপাদন, ভোগ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
- আরও পড়ুন >> পদ্মাসেতু প্রকল্প : মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে ফার্ম নিয়োগ
- আরও পড়ুন >> রাওয়ালপিন্ডিতে পুরো এক দিনও খেলতে পারল না বাংলাদেশ!
- আরও পড়ুন >> দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের ভেতরে ৫ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ
এ বছরে জানুয়ারির ২৫ তারিখে পড়েছিল চীনের নববর্ষ। এ দিনটিকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা ছিল চীনে ওই মাসে রফতানি কমবে ৪.২ শতাংশ ও আমদানি কমবে ৫.৮ শতাংশ।
ওই অবস্থার মধ্যে চীনে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। যার ফলে চীনা কর্তৃপক্ষ নববর্ষের ছুটি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হন। এরফলে দেশটির অনেক কারখানা আরও লম্বা সময় বন্ধ থাকছে। ফলে নববর্ষ কেন্দ্র করে জানুয়ারিতে চীনের অর্থনীতির চাকা যে শ্লথ হয়েছিল, সে ধারা ফেব্রুয়ারিতেও অব্যাহত থাকতে পারে।
সূত্র : ব্লুমবার্গ।