ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ফলাফলের প্রিন্ট কপি চেয়েও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন প্রার্থী। এসব প্রার্থীর সবাই পরাজিত। প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে নগরবাসী ভোট দিলেও ভোটারদের অনুপস্থিতি ও ইভিএম নিয়ে বিতর্ক কমেনি। বরং বেড়েছে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে।
ইসির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভোটের পরের দিন থেকে গেজেট প্রকাশের দিন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন কাউন্সিলর ইভিএমের প্রিন্ট কপির জন্য আবেদন করেছেন। এদের সবাই কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী। ইভিএমের কপি না পাওয়ায় আদালতে যেতে পারছেন না তারা।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী, সিটি করপোরেশ নির্বাচনের পর মেয়র বা কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বা সরকার মনোনীত কর্তৃপক্ষ মেয়র ও কাউন্সিলর শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করবে।
উত্তরের সিটির ৩১ ওয়ার্ডের আলোচিত কাউন্সিলর প্রার্থী ডেইজি সারোয়ার বলেন, লিখিতভাবে আমার অভিযোগগুলো জানিয়েছিলাম কিন্তু মৌখিকভাবে ইভিএমের কপি চেয়েছিলাম। কপির জন্য কমিশনে আবারও প্রতিনিধি পাঠাবো।
এদিকে উত্তরের ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্র্থী শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, ফলাফল প্রদানের সময় সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ইভিএমের ফলাফলের প্রিন্ট কপি না দিয়ে হাতে লেখা কপি দিয়েছেন। প্রিন্ট কপি চেয়ে আমি গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইসির কাছে আবেদন করেছি। ইসি থেকে বলা হয়েছে কপি দেবে। কিন্তু দিচ্ছে না। ইভিএম কপি না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উত্তরের ঘুড়ি প্রতীকের ৩০ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মাসুদ খান বলেন, ইভিএমের কপি দেয়া নিয়ে টালবাহানা করছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএমের কপি না পাওয়ায় আদালতে যেতে পারছি না। তিনি বলেন, ৪০ কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ১০ কেন্দ্রের ফলাফল পেয়েছি, বাকি ৩০ কেন্দ্রে কি হয়েছে জানি না। এ কারণেই ইভিএমের প্রিন্ট কপি চেয়েছি।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম জানান, প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলই রির্টানিং কর্মকর্তারা প্রকাশ করেছে। ইভিএমের লিখিত প্রিন্টেড কপি প্রার্থীদের শিগগিরই দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি (ডিএনসিসি) করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি (ডিএসসিসি) করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণের পর ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ৪ ফ্রেব্রুয়ারি নির্বাচিতদের নাম ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ করা হয়।