ডিএসএলআর ক্যামেরাকে হার মানাবে যে ফোন!

ডেস্ক রিপোর্ট

ডিএসএলআর ক্যামেরাকে হার মানাবে যে ফোন
ছবি : সংগৃহিত

সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে নতুন একটি ফ্লাগশিপ ডিভাইস উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। মডেল মেট ৩০ প্রো। এই ফোনটিকে বলা হচ্ছে ডিএসএলআর কিলার স্মার্টফোন। কেননা, এতে অধিক মেগাপিক্সেলের শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে ডিএসএলআর ক্যামেরার সমমানের ছবি এই ফোনেই তোলা সম্ভব।

ফোনটি নিয়ে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ (বাংলাদেশের) জিটিএম ডিরেক্টর বেয়ন্ড ঝেং বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হুয়াওয়ে মোবাইল সার্ভিসেস (এইচএমএস) সমর্থিত ফোন মেট ৩০ প্রো নিয়ে আসা হচ্ছে। হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ এ স্মার্টফোনটি দারুণ সব ফিচারের কারণে ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে বেশ সমাদৃত হয়েছে। আশা করি, ফোনটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের আকাঙ্খা পূরণ করতে পারবে। 

universel cardiac hospital

হুয়াওয়ে মেট ৩০ প্রো’তে রয়েছে ৬.৫৩ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস এবং ওএলইডি হরিজন ডিসপ্লে। হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ এ স্মার্টফোনটি আইপি (ইনগ্রেস প্রটেকশন) ৬৮ সার্টিফাইড। ফলে ধুলা, ময়লা ও বালুরোধী ফোনটি প্রায় পাঁচ ফুট পানির নিচেও সুরক্ষিত থাকবে। 

ফোনটির উন্নতমানের ক্যামেরা কনফিগারেশনের স্বীকৃতিও মিলেছে। ডিএক্সও মার্ক র‌্যাংকিংয়ে ১৩২ ফটো স্কোর নিয়ে র‌্যাংকিংয়ে উপরের দিকে রয়েছে মেট ৩০ প্রো। ফোনটির পেছনে চারটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।  যার মধ্যে রয়েছে ৪০ মেগাপিক্সেলের দু’টি ক্যামেরা। এ ক্যামেরা দু’টির একটি সুপার-সেনসিং ও অপরটি সিনে ক্যামেরা।

সিনে ক্যামেরাটির সাহায্যে খুবই কম আলোতেও ভিডিও ও ছবি ধারণ করা যাবে। পাশাপাশি আল্ট্রা স্লো-মোশন ও আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল টাইম-ল্যাপস ভিডিও ফিচার পাওয়া যাবে। সুপার-সেনসিং ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে রাত ও দিনের যে কোনো ছবিতেই নিঁখুত প্রতিচ্ছবি পাওয়া যাবে।

এ দুটি ক্যামেরা ছাড়াও রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো ক্যামেরা ও একটি থ্রিডি ডেপথ সেন্সর। পাওয়া যাবে ৩০ গুণ পর্যন্ত ডিজিটাল জুমিং সুবিধা। আরও থাকবে ৩ গুণ অপটিক্যাল জুম ও ৫ গুণ হাইব্রিড জুম।

ফোনটির সামনে রয়েছে তিনটি ক্যামেরা। যার মধ্যে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সলের একটি ক্যামেরা, একটি থ্রিডি ডেপথ সেন্সর ক্যামেরা ও একটি সুইং জেসচার ক্যামেরা।

অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে তৈরি ইএমইউআই ১০ সফটওয়্যারে চলবে মেট ৩০ প্রো। ব্ল্যাক ও স্পেস সিলভার এ দু’টি কালারের ফোনটিতে রয়েছে ৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি রম।

প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে হুয়াওয়ের সর্বাধুনিক কিরিন ৯৯০ চিপসেট। হাই-পারফরমেন্সের এ চিপসেটটি ব্যবহারের ফলে লো-ল্যাটেন্সির পাশাপাশি ফোনটি হবে উচ্চগতির।

ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি। ৪০ ওয়াটের সুপারচার্জ সুবিধা থাকায় খুবই অল্প সময়ে দ্রুত চার্জ করা যাবে।

হুয়াওয়ের এ স্মার্টফোনে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড থাকলেও গুগল প্লে স্টোর প্রি-ইন্সটল থাকবে না। প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো হুয়াওয়ে অ্যাপ গ্যালারি থেকে ডাউনলোড করা যাবে। হুয়াওয়ে অ্যাপ গ্যালারি সেবাকে সমৃদ্ধ করতে ইতোমধ্যেই ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে