করোনা রোগী শনাক্ত: মাস্কের বাজারে চাপ

মত ও পথ প্রতিবেদক

মাস্ক

দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত হওয়ার খবরের মধ্যে চাপ পড়েছে মাস্কের বাজারে। করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত হওয়ায় নাকমুখ ঢেকে রাখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার।

এদিকে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আতঙ্কিত অনেকেই মাস্ক কিনতে ভিড় করা শুরু করেন। যদিও অযথা মাস্ক ব্যবহার না করতে পরামর্শও রয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। আর আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিয়ে আইইডিসিআর সম্ভব হলে গণপরিবহন ও জনাকীর্ণ জায়গা পরিহার ও হ্যান্ডশেক থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

universel cardiac hospital

রোববার বিকালে যখন দেশে তিনজন রোগী সনাক্ত হয়েছে বলে জানানো হয় এরপর মাস্কের দোকানে ভিড় পড়ে যায়। বিশেষ করে ফুটপাতের যেসব দোকানে মাস্ক বিক্রি হয় তাতে অনেকটা পাল্লা দিয়ে কিনতে দেখা যায়। অনেককে নিজের জন্য একটা কেনার পাশাপাশি পুরো পরিবারের জন্য মাস্ক কিনতে দেখা গেছে। বাড়তি চাহিদার কারণে সব ধরণের মাস্কের দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনার সঙ্গে মাস্ক ফুরিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় তারা বাড়তি দাম দিয়ে হলেও কিনে রাখছেন।

শহিদুল ইসলাম নামের একজন কারওয়ান বাজারের একুশে টেলিভিশনের সামনের ফুটপাত থেকে পাঁচটি ফিল্টার মাস্ক নেয়ার পর দর কষাকষি করলে বিক্রিতা কোনো ছাড় না দেয়ার কথা বলেন। ৭০ টাকা করে ৩৫০ টাকা দিয়েই তাকে ৫টি মাস্ক নিতে হয়েছে।

একসঙ্গে পাঁচটি কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসার সবার জন্য নিলাম। আবার যদি না পাওয়া যায় তাই বেশি করে নিলাম।

কেন মনে হলো মাস্ক ফুরিয়ে যেতে পারে- এর জবাবে তিনি বলেন, বিদেশে যখন করোনা ছিলো তখনই দাম ডাবল হয়ে গেছে। এখন তো দেশেও রোগি পাওয়া গেছে। কি হয় বলা মুশকিল।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস আতঙ্কে সার্জিক্যাল মাস্ক, ফিল্টার মাস্ক, রেসপিরেটর হিসেবে তৈরি ফেস মাস্কসহ বিভিন্ন ধরনের মাস্ক থাকলেও সার্জিক্যাল মাস্কের চাহিদাই বেশি। কারণ এই মাস্কগুলো চীন থেকে আসে। চীনে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি হওয়ায় মাস্ক আমদানি কমে গেছে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, যেখান থেকে পাইকারি কিনে আনেন সেখানে বেশি দাম দিতে হচ্ছে। তাই আগের থেকে কম হলেও ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দিয়ে বিক্রি করছেন।

তবে এমন আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবাই সচেতন হতে হবে। অপরিস্কার হাতে চোখ নাক মুখ দেয়া যাবে না। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া এখন বিদেশ ভ্রমণ না করারও পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ মানের যে মাস্ক ৫ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কয়েক দিন আগেও যে ফিল্টার মাস্কের দাম ৩০ টাকা ছিলো। এখন তা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফিল্টার মাস্ক ৭০ থেকে ৮০ টাকাও বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে