প্রখ্যাত মোফাসসিরে কুরআন ও বরেণ্য ইসলামি আলোচক মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের সমাগমের ঘটনায় সার্কেল এএসপি, ওসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ওই ঘটনায় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে সরাইল থানার ওসি শাহদাৎ হোসেন টিটুকে প্রত্যাহার করা হয়।
শনিবার রাতে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে যুক্ত করতে বলা হয়।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আলাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে লকডাউন উপেক্ষা করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষ শরিক হন।
শনিবার সকালে জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা এবং আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়তলা মাদ্রাসায় আসতে থাকে লোকজন।
মাদ্রাসা মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায় মানুষ। একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত, অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে মানুষের ঢল।
এছাড়া ওই এলাকার আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। তবে সেখানে কিছু পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিলেন এক রকম নীরব দর্শক।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এ অবস্থায় নীরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ উঠে।
তবে সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন টিটু গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মাওলানা আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের সমাগম হয়েছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন এসেছে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোক হবে। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না।
তবে উপস্থিত লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাজায় শরিক হয়েছিলেন বলে ওসি দাবি করেছিলেন।