দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৩০

মত ও পথ প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস- আইইডিসিআর
ফাইল ছবি

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯৩০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৯৯৫ জন।

শনিবার (১৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

universel cardiac hospital

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা সবাই পুরুষ। বয়স বিশ্লেষণে ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের।

বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এঁরা ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুইজন এবং রংপুর বিভাগে দুইজন। ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা সিটিতে সাতজন, ঢাকা সিটির বাইরে ঢাকা জেলায় দুইজন, এবং ঢাকা বিভাগের গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদীতে একজন করে মৃত্যুবরণ করেছেন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৩৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ১১৭ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ছয় হাজার ৫০১টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ছয় হাজার ৭৮২টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ৯৩০ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৯৯৫ জন।

জানানো হয়, দেশের মোট ৪১টি ল্যাবের সবগুলোতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য পাওয়া যায়নি। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার ২০টি ল্যাবের মধ্যে ১২টি এবং ঢাকার বাইরে ২১টি অর্থাৎ মোট ৩৩টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৩৪৯ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১ জন। বর্তমানে আইসোলেনশনে আছেন তিন হাজার ৪৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৫৩০ জন।

সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা সংখ্যা আট হাজার ৬৩৪টি। ঢাকা মহানগরীতে দুই হাজার ৯০০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৭৩৪টি। এ ছাড়া ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০০টি ও ময়মনসিংহ নার্সিং ডরমিটরিতে আরো ২০০টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুতির কাজ চলছে। এর বাইরেও রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে একটি হাসপাতাল এবং মহাখালীর ডিসিসি মার্কেটে আরেকটি হাসপাতাল প্রস্তুতির কাজ চলছে।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৫১০ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৭০৪ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট দুই লাখ ৩৬ হাজার ৯১৪ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ৭৭৩ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৮ হাজার ১৪১ জন।

সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৬১৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ১৬৫ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৮২ হাজার ৩৭৭টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮০ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরও ৪০ জন। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ১০৩ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে