পাঁচ মাস পর উন্মুক্ত কক্সবাজার সৈকত, ব্যবসায়ীদের স্বস্তি

বিশেষ প্রতিনিধি

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত

প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার কারণে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর খুলেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোমবার সকাল থেকে খুলে দেয়া হয়েছে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র।

করোনা সংক্রমণ রোধে প্রায় পাঁচ মাস ধরে সৈকতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। একই সঙ্গে বন্ধ ছিল সব পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল মোটেল, রেস্তোরাঁ, বার্মিজ দোকানসহ সব ধরনের পর্যটন ব্যবসা। দীর্ঘদিন পর কক্সবাজার খুলে দেয়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর আশার আলো দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

universel cardiac hospital

সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রথম দিন সৈকত খুলে দেয়া হলেও পর্যটকদের উপস্থিতি অনেক কম। যারা ঘুরতে গেছেন তারা যে যার মতো আনন্দ করছেন। সমুদ্র স্নান, বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, ছবি তোলাসহ আনন্দমুখর সময় পার করছেন। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সৈকতের বালিয়াড়িসহ সাগরের লোনাপানিতে ভিড় করছেন তারা। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও আনন্দ উপভোগ করছেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ জেলার সব বিনোদনকেন্দ্র। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে– সৈকত ভ্রমণে আসা বেশিরভাগ পর্যটক স্বাস্থ্যবিধি মানতে আগ্রহী না। নির্দেশনা থাকার পরেও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, জেলার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে বিভিন্নভাবে প্রায় কয়েক লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত। তাদের কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে পর্যটনশিল্প খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটন শিল্প খুলতে হবে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, কক্সবাজারে কিছু কিছু পর্যটক আসা শুরু করেছেন। তারা সৈকতেও নামছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বারবার সচেতন করা হচ্ছে। সৈকতে মাইকিং করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার মহামারিতে পর্যটন শহরের ব্যবসায়ীদের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বলে বুঝানো যাবে না। এই ক্ষতি আগামী কয়েক বছরেও পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে দীর্ঘ সময়ের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজসহ পর্যটন এলাকার সব প্রতিষ্ঠান প্রশাসন খুলে দিয়েছে, তাতে তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার বলেন, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলো চালু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এ সিদ্বান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনেই আমরা পর্যটকদের সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। পর্যটকদের সাড়াও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে