আইপিএলের মতো এত বড় একটা টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে আর ফিক্সিং নিয়ে আলোচনা হবে না, তা কী করে হয়! মিলিয়ন ডলারের এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জুয়াড়িরা তাদের পরিকল্পনা সাজিয়ে বসে থাকে। সুযোগ পেলেই চেষ্টা করে কাউকে জড়িয়ে দেয়ার।
এবারের আইপিএলও দুই সপ্তাহ পেরুতেই ফিক্সিং নিয়ে আলোচনার জায়গা বের হলো। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) এন্টি করাপশন ইউনিটের প্রধান অজিত সিং ‘প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’কে নিশ্চিত করেছেন, আইপিএলের একজন খেলোয়াড় ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েছেন।
সেই খেলোয়াড় অবশ্য প্রস্তাব পাওয়ার পর দেরি করেননি, জানিয়ে দিয়েছেন এন্টি করাপশন ইউনিটকে। আপাতত ওই খেলোয়াড় এবং তার দলের নাম গোপন রাখা হয়েছে। তবে জানা গেছে, বায়ো সিকিউর বাবলের মধ্যে থাকা দলগুলোর মধ্য থেকে কেউ এই অনৈতিক প্রস্তাব দেননি।
রাজস্থান পুলিশের সাবেক ডিজিপি অজিত সিং বলেন, ‘হ্যাঁ (একজন খেলোয়াড় প্রস্তাব পেয়েছেন)। আমরা তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি (যে প্রস্তাব দিয়েছে)। তবে কিছুটা সময় লাগবে।’
করোনার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বায়ো-সিকিউর বাবলে থাকা খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাদের মধ্যে বাইরে থেকে লোক ঢোকার উপায় নেই। তারপরও খেলোয়াড়দের নিয়ে বারকয়েক ভার্চুয়াল কাউন্সেলিং করেছে এন্টি করাপশন ইউনিট, যাতে তারা কেউ ভুল পথে পা না বাড়ান।
আর এবারের টুর্নামেন্টকে আরও বেশি স্বচ্ছ রাখতে বিসিসিআই বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে স্পোর্টরাডার নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে, যাদের দুর্নীতি বিরোধী কাজে ভালো সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন প্রকার তথ্য দিয়ে তারা সাহায্য করছে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন কমিশনকে।