প্রায় এক বছর ধরে তাণ্ডব চালালেও করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী কোনো টিকা এখনো সাধারণের হাতে আসেনি। ফের চলে এসেছে শীত। শীতে করোনা আবারও ভয়াবহ হতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে করোনা মহামারি দূরে ফেলে আগামী শীতে মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে বলে জানিয়েছেন ফাইজারের করোনা টিকার উদ্ভাবক ও বায়োএনটেকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগর সাহিন। খবর বিবিসির
উগর সাহিনের মতে, এবারের শীতকালটা বেশ কঠিন যাবে কারণ করোনা ভ্যাকসিন সংক্রমণ সংখ্যায় বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে আগামী শীতের আগে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসবে মানুষের।
বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শোতে তিনি বলেন, যদি সব কিছু ঠিক থাকে তবে ভ্যাকসিন এই বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে সরবরাহ করা যাবে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে সারাবিশ্বে ৩০ কোটি ডোজ সরবরাহ লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এটি হবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শুরু।
অধ্যাপক সাহিনের মতে, এর বড় প্রভাব শুরু হবে গ্রীষ্মে। কারণ গ্রীষ্মে করোনা সংক্রমণ কমে আসবে, আর এটি হবে আমাদের জন্য সহায়ক। আর আগামী শরতের আগেই ভ্যাকসিন দেওয়ার হার বাড়াতে হবে।
সম্প্রতি বায়োএনটেক ও ফাইজার দাবি করেছে যে তাদের তৈরি করোনা টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। এই ট্রায়ালে ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। অধ্যাপক সাহিন বলেন, আমি নিশ্চিত ভ্যাকসিন মানুষের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনবে। হয়তো ৯০ শতাংশ না, হয়তো ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনবে। তবে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, ভ্যাকসিনের কারণে নাটকীয়ভাবে মহামারী ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হয়ে যাবে তা মনে করার কারণ নেই।
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়ে তিনি বলেন, অংশগ্রহণকারীরা টিকা দেওয়ার জায়গায় কয়েকদিন সামান্য ব্যথা এবং জ্বরের কথা জানিয়েছেন। এর বাইরে আর কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানা যায়নি।
যে ১১টি করোনা ভ্যাকসিন শেষ ধাপের ট্রায়ালে আছে সাহিনের টিকা তাদের একটি। বিবিসি জানিয়েছে, বছর শেষে এক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন নেবে যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে আরও তিন কোটি ডোজের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে এই টিকার দুটি ডোজ দিতে হবে। স্বাস্থকর্মী ও ৮০ বছরের বেশি বয়স্কদের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।