দেশে গত এক সপ্তাহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, নতুন রোগী শনাক্ত, নমুনা পরীক্ষা এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যায় সব সূচকই বেড়েছে।
এপিডেমিওলজিক্যাল ১০তম সপ্তাহের (৭ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ) তুলনায় ১১তম সপ্তাহে (১৪ মার্চ থেকে ২০ মার্চ) মৃত্যু বেড়েছে ৮৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৯১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর নমুনা পরীক্ষা ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০ মার্চ এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে এক লাখ ১৬ হাজার ২৩২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ছয় হাজার ৫১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে আট হাজার ৩৪৪ জন রোগী সুস্থ হয়। আর মৃত্যু হয় ৭৬ জনের।
অপরদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১১তম সপ্তাহে এসে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ১২ হাজার ৭৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আর একই সময়ে মারা যান ১৪১ জন। সুস্থ হন ১০ হাজার ৪০৮ জন।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। একই সময়ে মারা যান ২৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৬ জন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৬৬৮ জনের।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২১৯টি ল্যাবরেটরিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৯০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ১১টি।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ৯ দশমিক চার শতাংশ। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৫৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৭১৮ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।