হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের একমাত্র টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ইসলাম এবং নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরির উপর ভর করে ১ উইকেটে ২৮৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। ফলে টাইগারদের লিড দাঁড়িয়েছে ৪৭৬ রানে। জিততে হলে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে এখন করতে হবে ৪৭৭ রান। জয়ের উদ্দেশ্যে এখন ব্যাট করছে টেলররা। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই জিম্বাবুয়ের ওপেনার মিল্টন শোম্বার উইকেট তুলে নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১১ রান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৫ রান। দলীয় অধিনায়ক ব্রানডেন টেলর ১০ রানে ও আগের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার কাইতানো ০ রানে ব্যাট করছেন।
এদিকে তৃতীয়দিনের শেষ বিকেলে ৪৫ রানে দিনশেষে করেছিল সাদমান-সাইফ। আজ ফের ক্রিজে ফেরেন দুজনই। ওপেনিং জুটিতে তুলেন ৮৮ রান। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন সাইফ। কিন্তু ৩১তম ওভারে জিম্বাবুইয়ান পেসার এনগারাভার বলে মেয়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজফরে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৪৩ রান।
এরপর সময় যতই গড়িয়েছে ততই হেসেছে ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেন অপ্রতিরোধ্য ১৯৬ রানের জুটি। দুজনই তুলে নিয়েছেন শতরানের ইনিংস। অবশ্য এটিই সাদমানের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি। ১৯৬ বলে তার খেলা ১১৫ রানের ইনিংসটি ৯টি চারে সাজানো।
অন্যদিকে আগের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর এবার হারারেতেও শতরানের দেখা পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৮ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ১১৭ রানে। তার এই ইনিংসটি পাঁচটি চার এবং ছয়টি ছয়ে সাজানো।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ অপ্রতিরোধ্য সেঞ্চুরি এবং মুমিনুল, লিটন এবং তাসকিনদের হাফসেঞ্চুরির উপর ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাহাড় সমান ৪৬৮ রান সংগ্রহ করে সফররত বাংলাদেশ দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে মাত্র ২৭৬ রানেই অলআউট হয়েছে রোডেশিয়রা। তাদের ইনিংস শেষে বাংলাদেশ লিড পায় ১৯২ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসান নেন চারটি উইকেট। আর একটি উইকেট তাসকিনের।