বায়ু দূষণ ভারতীয়দের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৯ বছর কমাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা বলছে, ভারতের উত্তরাঞ্চলে ৪৮০ মিলিয়ন মানুষ ‘বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে চরম মাত্রার বায়ু দূষণ’ মোকাবেলা করছে। সময়ের পরিক্রমায় এই দূষণ আরও বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। সূত্র: বিবিসি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, শক্তিশালী পরিষ্কার বায়ু নীতি সেখানকার মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল আরও ৫ বছর বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশ্বের বায়ু দূষণ র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের শহরগুলো বেশিরভাগ সময়ই প্রথম সারিতে অবস্থান করে। সেদেশে প্রতি বছর বায়ু দূষণের কারণে এক মিলিয়ন তথা ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (ইপিআইসি)। তারা বলছে, ‘উত্তর ভারতের মানুষ যে দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস গ্রহণ করে তা বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দূষিত।’
গত কয়েক দশক ধরে এই দূষণ ভারতের পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চলের রাজ্যগুলোতেও ছড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ। এসব অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল এই শতকের শুরুর দিকের সময়ের তুলনায় আড়াই থেকে তিন বছর কমেছে বলে উঠে এসেছে এই গবেষণায়।
ইপিআইসি এর এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টের নতুন তথ্য বলছে, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যদি দূষণ কমিয়ে সেখানকার বায়ুর মান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানে নিয়ে আসা যায় তাহলে সেখানকার মানুষের আয়ু আরও ১০ বছর বেড়ে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে বিশ্ব জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বসবাস। এসব দেশগুলো বেশিরভাগ সময়েই সবচেয়ে বেশি দূষিত দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করে।
ইপিআইসি স্বীকার করেছে যে, ভারত সরকার বায়ুর মান উন্নয়নের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন: ২০১৯ সালে দেশটি ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম গ্রহণ করে।
ইপিআইসি বলছে, ভারত যদি তাদের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে সমগ্র ভারতে প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ২ বছর বেড়ে যেতে পারে। দিল্লিতে বসবাসকারীদের আয়ু বাড়তে পারে সাড়ে তিন বছর।