জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে ডাকা ধর্মঘট স্থগিত করেছেন ট্রাক-লরি-কাভার্ড ভ্যানসহ পণ্যবাহী গাড়ির মালিক ও শ্রমিকরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে ভাড়া সমন্বয়ের আশ্বাস পাওয়ার পর তারা ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।
সোমবার রাত সোয়া আটটার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। চলে রাত দশটা পর্যন্ত। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া বাড়ানো হবে। এ ব্যাপারে যৌক্তিক একটি ভাড়া নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, ট্যাংকলরি ও প্রাইম মুভার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে গত শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন মালিক-কাভার্ড ভ্যান মালিক শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন নেতারা। তারা সেদিন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমলে বা ভাড়া সমন্বয় হলে অথবা যৌক্তিক সমাধান মিললে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।
গতকাল রবিবার বিআরটিএর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে কেবল ডিজেলচালিত বাস ও নগর পরিবহন হিসেবে চলাচল করা বাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ওইদিন সন্ধ্যায়।
ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিকরা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যৌক্তিক সমাধান না আসায় তারা ধর্মঘট চলমান রাখবেন। ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের ডেকে পাঠান।
গত বুধবার রাতে ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি বিভাগ। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পণ্যবাহী গাড়ির মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন ধর্মঘটে যাওয়ার ডাক দেয়। পরে যাত্রীবাহী পরিবহন এবং লঞ্চও ধর্মঘটে যায়। দাবি আদায় হওয়ায় বাস ও লঞ্চ ইতিমধ্যে চলাচল শুরু করেছে।