করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন অপ্রত্যাশিত গতিতে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। আর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। তবে বেড়েছে প্রাকৃতির গ্যাসের দাম।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অয়েল প্রাইস ডটকমের হিসাবে, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম কমেছে ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বা ৩ দশমিক ৪১ মার্কিন ডলার। এদিন প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৬৭ দশমিক ৪৫ ডলারে।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ক্রুডের দামও কমেছে অনেকটা। সোমবার এর দরপতন হয়েছে পুরো চার শতাংশ বা ২ দশমিক ৯৪ ডলার। এদিন প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল বিক্রি হয়েছে ৭০ দশমিক ৫৮ ডলারে।
কমেছে হিটিং অয়েলের দামও। সোমবার এর দাম ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে বিক্রি হয়েছে ২ দশমিক ১৩৫ ডলারে।
তবে, বেড়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। সোমবার এর দাম ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ০.১৩৯ ডলার বেড়ে প্রতি ইউনিট বিক্রি হয়েছে ৩ দশমিক ৮২৯ ডলারে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকা এবং ইউরোপ-আমেরিকায় সামাজিক বিধিনিষেধ ফিরে আসায় আবারও তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর কারণেই বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী তেলের দাম।
গত রোববার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে আবারও লকডাউনে গেছে নেদারল্যান্ডস। বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ সামনে রেখে ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে কড়াকড়ি আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে সামাজিক দূরত্বের বিধি ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছে ইতালি। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেই নতুন স্বাস্থ্যবিধির ঘোষণা দিতে পারেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্য এখনো সামাজিক বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা না দিলেও দেশটিতে দ্রুত বাড়ছে ওমিক্রনের উপদ্রব। সেখানে করোনার নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও শতাধিক।
ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় জনগণকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। গত রোববার তারা সবাইকে বুস্টার ডোজ নেওয়া, মাস্ক পরা এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। আরও অনেক দেশেই ডেল্টাকে ছাড়িয়ে করোনার প্রধান সংক্রামক ধরন হয়ে ওঠার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ওমিক্রন।