আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল থেকে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর করা হবে। আজ শনিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) নতুন কারিকুলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সরকারি সব অফিস-আদালতে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন শুক্র ও শনিবার। তবে স্কুল-কলেজে ছুটি শুধু একদিন শুক্রবার। তবে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন। কোনো কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সপ্তাহে দুদিন ছুটি রয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়াতে প্রস্তাব করেছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, বিদ্যমান সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার ছুটি হলে ক্লাস হবে ১৮৫ দিন। কারণ, বছরের বেশকিছু শনিবার সরকারি ছুটি থাকে।
এনসিটিবি বলছে, ২০২০ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ছুটি বাড়লেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হবে না। তাদের লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই ছুটি বাড়ানোর এ প্রস্তাব করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমবে।
এদিকে আজ নতুন কারিকুলামের পাইলটিংয়ের জন্য নির্বাচিত ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন কারিকুলামে ২০২৪ সাল থেকে নবম শ্রেণিতে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান (আর্টস, কমার্স ও সায়েন্স) বিভাগ আর থাকছে না বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু জ্ঞান নয়, এর সাথে দক্ষতা অর্জনই মূলত নতুন কারিকুলামের লক্ষ্য। সেটি বাস্তবায়নেই আমাদের আগামী দিনের পথচলা।
তিনি বলেন, এখন পাইলটিং চলবে। ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি বাস্তবায়িত হবে। এতে সফল হতে পারলে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকভাবে ষষ্ট ও সপ্তম শ্রেণি থেকে বাস্তবায়ন করবো। ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এটি বাস্তবায়ন হবে। সে হিসেবে ২০২৪ সাল থেকে আর আর্টস, কমার্স, সায়েন্স বিভাগ থাকছে না।