ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়ার পাঁচ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। টানা পঞ্চম দিনের মতো সেখানে সংঘাত চলছে। এর মধ্যেই কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, গত কয়েক দিনের সংঘাতে রাশিয়ার পাঁচ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঁচ হাজার তিনশ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। একই সঙ্গে আরও দাবি করা হয়েছে যে, ইউক্রেন সেনাবাহিনী রাশিয়ার ১৯১টি ট্যাঙ্ক, ২৯টি যুদ্ধবিমান, ২৯টি হেলিকপ্টার এবং ৮১৬টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে।
এর আগে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি প্রকৃত তথ্য জানায়নি তারা।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী কিয়েভ থেকে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রায় সব জেলাতেই এখনও রুশ সৈন্যদের সঙ্গে লড়াই চলছে।
কারফিউ তুলে নেওয়ায় মুদি দোকানগুলো খোলা হয়েছে। ফলে মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে। গত দুই দিন ধরে বেশিরভাগ মানুষই বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে অবস্থান করছিলেন। এখন কিছুটা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন তারা।
এদিকে সুদের হার বাড়িয়েছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, রুবলের (রাশিয়ার মুদ্রা) মূল্যহ্রাস এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি মোকাবিলায় সুদের হার সাড়ে ৯ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের অর্থনৈতিক পতন ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।
ব্যাংক অব রাশিয়া এবং অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোম্পানিগুলোকে তাদের বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের ৮০ শতাংশ বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছে মস্কো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার অর্থনীতির বাহ্যিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।