ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ গড়ালো ১১তম দিনে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে প্রেসিডেন্ট পুতিন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের প্রতিহত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিরাপত্তা বাহিনীও। গত ১০ দিন ধরে চলছে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কোর চাহিদা পূরণ হলেই ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করা হবে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে পুতিন বলেন, ইউক্রেন যখন লড়াই বন্ধ করবে ও রাশিয়ার চাহিদা পূরণ হবে তখনই হামলা বন্ধ করা হবে।
ভূমি, আকাশ ও সাগর অর্থাৎ তিন দিক থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী এ অভিযান চলছে বলেও জানান পুতিন।
তাছাড়া ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানায়, পুতিন আশাবাদ প্রকাশ করে বলেছেন ইউক্রেনের আলোচকরা আরও গঠনমূলক পন্থা অবলম্বন করবেন। এদিকে এরদোয়ানের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তুরস্কের নেতা জরুরি-ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৮৮ বিমান ও হেলিকপ্টার হারিয়েছে রাশিয়া।
এছাড়া বেশ কয়েকজন রাশিয়ান পাইলটকেও আটক করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মারিউপোলে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী রুশ সৈন্যদের সঙ্গে লড়াই অব্যাহত রেখেছে।