আফগানিস্তানে চার স্থানে বিস্ফোরণে ঘটেছে। দেশটির চার জায়গায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ৮৭ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা বিবিসি।
উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরীফ শহরের একটি শিয়া মসজিদে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। মসজিদে হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে।
বালখ প্রাদেশিক জনস্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র আহমেদ জিয়া জিন্দানি এএফপিকে বলেন, রক্ত এবং ভয় সর্বত্র বিরাজ করছে। বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত এবং ৫৮ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩২ জনের অবস্থা গুরুতর।
ইসলামিক স্টেট গ্রুপ (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তালেবান সরকার দাবি করছে তারা আইএসকে পরাজিত করেছে। কিন্তু এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের কাছে গুরুতর নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেছে।
আইএস জিহাদিরা বলেছে, মাজার-ই-শরীফ মসজিদে যখন মুসল্লিতে পরিপূর্ণ ছিল তখন হামলাটি রিমোট কন্ট্রোল বুবি-ট্র্যাপড ব্যাগ ব্যবহার করে করা হয়েছে।
এই হামলাটি জিহাদি গোষ্ঠীর প্রাক্তন নেতা ও মুখপাত্রের মৃত্যুর ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার চলমান অভিযানের বিশ্বব্যাপী প্রচারণার অংশ মাত্র বলেও জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র মাজার-ই-শরিফের বিস্ফোরণটি একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণের সর্বশেষ ঘটনা যেটার দায় আইএসআইএসের সহযোগীরা স্বীকার করেছে।
হামলার বিস্তারিত এখনো জানা সম্ভব হয়নি। তবে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্য তিনটি বিস্ফোরণে ব্যাপারে আইএসেএখনো দায় স্বীকার করেনি। তারা জড়িত কিনা সেটা স্পষ্ট নয়।
দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি কুন্দুজের পুলিশ স্টেশনের কাছে একটি গাড়ির ওপর হয়েছে। এতে চারজন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ মুখপাত্র জানিয়েছেন।
পূর্ব নাঙ্গারহার প্রদেশে রাস্তার ধারে মাইন বিস্ফোরণে চার তালেবান সদস্য নিহত এবং একজন আহত হওয়ার খবরও দিয়েছে বিবিসি।
চতু্র্থ মাইন বিস্ফোরণটি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়াজ বেইক এলাকায় ঘটে এবং এতে দুই শিশু আহত হয়।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের শিয়া অধ্যুষিত এলাকার আব্দুল রহিম শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুটি বোমা বিস্ফোরণের কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণগুলি ঘটে। এতে অন্তত ছয়জন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আইএস জঙ্গিরা অতীতে ওই এলাকায় হামলা করেছে, তবে ওই ঘটনার পেছনে তারা ছিল বলে এখনো স্বীকার করেনি।