বেচাকেনায় সরগরম নিউমার্কেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নিউমার্কেট আজ বৃহস্পতিবার কেনাবেচায় বেশ সরগরম ছিল। দোকানিদেরকে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। নানা বয়সের ক্রেতার ভিড় ছিল বিপণিবিতানগুলোতে। দুই দোকান কর্মচারীর ঝগড়া রূপ নেয় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে।

টানা দুই দিনের বেশি সময় থেমে সংঘর্ষ চলে। এরই মধ্যে প্রাণ গেছে দুই জনের। অবশেষে উত্তেজনা থেমেছে। আজ খুলেছে দোকানপাট। ক্রেতারা সমাগম বেশ ভালো। চলছে বেচাকেনা, ঢাকা কলেজের পরিস্থিতিও শান্ত। নিউমার্কেট ফিরে যাচ্ছে পরিচিত রূপে।

universel cardiac hospital

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউমার্কেটে এলাকায় গেলে দেখা যায়, প্রায় সব দোকান খুলেছে। রাস্তার ওপর থাকা কিছু দোকানও খোলা দেখা যায়। দোকানের সামনে ফুটপাতেও দোকান বসতে শুরু করেছে। তবে কলেজের পার্শ্ববর্তী চন্দ্রিমা মার্কেট, উল্টোপাশের নূরজাহান মার্কেট ও গ্লোব শপিং সেন্টার সকালবেলা বন্ধ ছিল।

তবে দুপুর গড়াতেই দোকান খুলেছে। গাউছিয়া, চাঁদনীচক মার্কেটের দোকানও খোলা হয়েছে। আর সংঘর্ষের সময় আগুনে দগ্ধ দোকানগুলোর সংস্কার করতে দেখা যায়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা কলেজের ফাঁকা ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। হলের সামনে নেই শিক্ষার্থীদের ভিড়। পুরো ক্যাম্পাসে ছোট ছোট আড্ডা দেখা যায়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে নির্দেশ অমান্য করে আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ, রমনা ডিসি-এডিসি ও নিউমার্কেট থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

কলেজ প্রশাসন জানিয়েছে, আজ থেকে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ঈদ উপলক্ষে বন্ধ। সে কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকেই এরই মধ্যে বাড়িতে চলে গেছেন।

শিক্ষার্থীদের যে ১০ দফা দাবি ছিল সেই দাবিগুলোর ওপরে এখনো তাঁরা অটল। একই সঙ্গে পুলিশের দেওয়া মামলায় যেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করতে কলেজ প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন বলেন, হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্তের কথা আমাদের পক্ষ থেকে ছাত্রদের জানিয়ে দিয়েছি। ছাত্ররা ছাত্রাবাস ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

অধ্যক্ষ আরও বলেন, আহত শিক্ষার্থীরা বিশেষ বিবেচনায় হলে অবস্থান করছে। আজ থেকে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। শিক্ষার্থীরা ঈদ উপলক্ষে আস্তে আস্তে হল ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

পুলিশের মামলায় যেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করার দাবির ব্যাপারে অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

শেয়ার করুন