হৃদয় মণ্ডল, রসরাজ ও ঝুমন দাশরা মামলা থেকে মুক্তি চান

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিনাশী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। এ ছাড়া ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাগুলো প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে এ দাবি ওঠে। আজ শুক্রবার ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৌলবাদীদের সাম্প্রদায়িক জিহাদ প্রতিরোধ’ শীর্ষক এ ওয়েবিনার হয়। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ বছর ৩ মে ঈদুল ফিতরের দিন ছিল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। ঈদের কারণে এই দিন জাহানারা ইমামের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচি যথা সময়ে পালন করা সম্ভব হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে স্বাধীনতাবিরোধীরা মৌলবাদী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিটিআরসির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের আপত্তিকর পোস্ট ও মন্তব্য মুছে ফেলার জন্য একটি অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করছি।

নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণাকারী মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিনাশী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে এসব ঘটনার ভুক্তভোগীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার মুন্সিগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল, সুনামগঞ্জের ঝুমন দাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রসরাজ দাস বক্তব্য দেন। ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য দেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা তুরিন আফরোজ, নির্মূল কমিটি আইটি সেল সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর, সর্ব ইউরোপীয় নির্মূল কমিটির সভাপতি সমাজকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী প্রমুখ।

শেয়ার করুন