হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে প্রকৌশলীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার পাঁচতারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে এক প্রকৌশলীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সুব্রত সাহা নামের ওই ব্যক্তি হোটেলটিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

দুপুর দেড়টার দিকে হোটেলের দ্বিতীয়তলার ছাদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রমনা থানা পুলিশ ছাড়াও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ ও গোয়েন্দা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, সুব্রত হোটেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ২২ বছর ধরে কর্মরত। প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে তিনি হোটেলে আসেন এবং নবম তলায় ডিউটিরত ছিলেন। তবে কীভাবে সেখান থেকে পড়ে মারা গেলেন সেটা পরিষ্কার নয়। সুব্রত নবম তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেও দাবি তাদের।

ঘটনাস্থলে থাকা রমনা থানা পুলিশ বলছে, আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হবে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খোঁজা হচ্ছে। তা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে কীভাবে সুব্রতর মৃত্যু হয়েছে।

এব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তিনি ওপর থেকে নিচে পড়ে মারা গেছেন। তবে কীভাবে তিনি পড়লেন বা কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে কি না—তদন্তের পরই এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে নিহতের স্ত্রী নুপুর শাহ সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী আত্মহত্যা করবেন, এমন কোনো ঘটনা গত কয়েকদিনে ঘটেনি। সুব্রতকে হত্যা করে মরদেহ সেখানে ফেলে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তার। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে নিহতের স্ত্রী নুপুর।

নিহত সুব্রত ধানমন্ডির সেন্ট্রাল রোডের একটি বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। একমাত্র মেয়ে নবমশ্রেণিতে পড়াশোনা করছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

শেয়ার করুন