‘একজন অর্ধ শিক্ষিত যুবক হাওয়া ভবনকে লন্ডনে নিয়ে গেছেন’

মত ও পথ রিপোর্ট

জাতীয় সংসদ অধিবেশন
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, একজন অর্ধ শিক্ষিত যুবক লন্ডনে বসে হাওয়া ভবনকে সেখানে নিয়ে গেছেন। তিনি মনোনয়ন দেওয়া এবং কমিটি গঠনের জন্য সেখানেও নাকি টাকা নেন। ওখানে বসে উনি দুর্নীতি করছেন। জঙ্গিবাদের জন্ম দিচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমান দাবি করে আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, ‘নেতিবাচক কাজ ছাড়া, কোনোদিন ইতিবাচক কাজ তিনি দলের জন্য, দেশের জন্য করেছেন বলে আমার মনে হয় না। আমার অবাক লাগে— এই নেতার পেছনে বিএনপির এত প্রজ্ঞাবান ও জ্ঞানী নেতারা কীভাবে সমবেত হন। সেটা ঠিক বুঝতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা সকালে নাস্তা খেয়ে আওয়ামী লীগ, সরকার ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলেন। কয়েকদিন আগে এক চক্ষু চিকিৎসক আমাকে ফোন করেছিলেন। ছানি সচেতনামূলক মাসের এক অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।’

নূর বলেন, তখন তাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম— ছানি পড়লে আপনারা সার্জারি করেন, মানুষ চোখে দেখতে পায়। কিন্তু যাদের চোখে ছানি নেই, চোখ খুব ভালো আছে, তারা যদি দেখতে না পায়, তাদের কী চিকিৎসা হবে? উনি বুঝতে পারেনি। বললাম, দেখেন বিএনপির নেতারা আছেন, যারা আমাদের ভালো কিছুই দেখতে পায় না, সবকিছুই খারাপ দেখতে পায়। তাদের কী চিকিৎসা হবে। উনি চিন্তা করে বললেন, উনাদেরতো চোখের চিকিৎসা হবে না, মানসিক রোগের চিকিৎসা করতে হবে, পাগলা গারদে পাঠালে সবচেয়ে ভালো হবে।

‘প্রয়োজন হলে একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠবে’ বলে জানিয় তিনি বলেন, ‍‘শুধু আওয়ামী লীগ নয়, দরকার হলে ১৮ কোটি মানুষ একাত্তরের হাতিয়ার নিয়ে গর্জে উঠবে। এত সহজ নয়। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর উদারতা, ভালোবাসা, মমতার সুযোগ নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল। আজকে কিন্তু সেটি সম্ভব নয়। আমরা প্রস্তুত ও ঐক্যবদ্ধ। আমরা শেখ হাসিনাকে ঘিরে দুর্গ গড়ে তুলেছি। সেটাকে ভেদ করার শক্তি ওই অপশক্তির নেই। তবে ওরা বসে নেই ষড়যন্ত্র করছে। দেশের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় গড়ে তুলে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাভূত করা করা হবে।’

অস্বচ্ছল শিল্পীদের ভাতা ন্যূনতম তিন হাজার ও সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা করার দাবি করেন তিনি। একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক পাওয়া শিল্পীদের বিমানবন্দরে ভিআইপি টার্মিনাল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেন আসাদুজ্জামান নূর। এছাড়া সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন, সেটা ত্বরান্বিত করার জন্য অনুরোধ জানান সরকারি দলের এই এমপি।

শেয়ার করুন