বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ভারতে গ্রেফতার পি কে হালদারকে (প্রশান্ত কুমার হালদার) আবারও ১৫ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার আদালত।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) কলকাতার বিশেষ সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (সিবিআই) বিচারক এ নির্দেশ দেন।
সিবিআই আদালতের বিচারপতি জীবনকুমার সাধু বলেন, ২০ জুলাই তাদের ফের আদালতে হাজির করতে হবে। এ সময় পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের দুই আইনজীবী আলী হায়দার এবং সোমনাথ ঘোষ এজলাশে উপস্থিত ছিলেন না।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী নতুন করে কারাগারে গিয়ে পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন এবং ১৫ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের আবেদন করেন। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে অরিজিত চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের জেরা করে ভারতের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত এদের নামও চার্জশিটে থাকবে। বাংলাদেশের কিছু প্রভাবশালীর নাম পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই চার্জশিট আদালতে পেশ করা হবে এবং তা ২০ জুলাই পেশ করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে সবশেষ ২১ জুন পি কে হালদারকে একই আদালতে তোলা হয়। সেদিন ইডির পক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী অন্য একটি মামলায় হাইকোর্টে আটকে যাওয়ায় বিচারক এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেন এবং ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশও দেন।
গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। গত ১৭ মে পি কে হালদারের আরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কলকাতার একটি আদালত।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগে বলা হয়, পলাতক পি কে হালদার তার নামে অবৈধ উপায়ে এবং ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।