গ্রীষ্মকালজুড়ে গণপরিবহনের ভাড়া ৯০ শতাংশের বেশি কমিয়েছে জার্মানি। জার্মানির পার্লামেন্ট গ্রীষ্মকালীন ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করেছে প্রতি মাসে ৯ ইউরো।
মূলত দূষণ কমাতে এবং নাগরিকদের গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহিত করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। সেই সঙ্গে ক্রমেই জটিল হতে থাকা জ্বালানি সংকটে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা সামলাতে সরকারের এটি একটি স্বল্পমেয়াদি কৌশল। যেখানে গ্রীষ্মকালে প্রচুর জার্মান ভ্রমণ করেন।
সরকারের পদক্ষেপটি গত ১ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। সমস্ত বাস, ট্রাম, সাবওয়ে এবং আঞ্চলিক ট্রেনের খরচ কমাতে ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি মাসে ট্রেন ভ্রমণ মাত্র ৯ ইউরো করাসহ কিছু শহরে গণপরিবহনের ভাড়া ৯০ শতাংশের বেশি কমানো হয়েছে।
এতে বার্লিনের যাত্রীদের মাসিক ভ্রমণ ব্যয় ৯৮ ইউরো সাশ্রয় হবে। আর হামবুর্গের যাত্রীদের সাশ্রয় হবে ১০৫ ইউরোর বেশি। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মে যাত্রীর চাপ সামলাতে ৫০টি অতিরিক্ত ট্রেন চালু করা হয়েছে। আগস্ট পর্যন্ত এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
সে হিসাবে শুধু গ্রীষ্মকালে হ্রাসকৃত ভাড়ার অঙ্কটি দাঁড়ায় প্রায় ২৫০ কোটি ইউরো। ভাড়া কমানোর কারণে পরিবহন কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ রাজস্ব হারাবে সরকার তা পুষিয়ে দেবে।
একেবারে যে কম সাড়া পাওয়া গেছে, তা কিন্তু নয়। জার্মানির রেলস্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় লেগে থাকছে। ফলে সরকারের উদ্যোগ একেবারে ব্যর্থ হবে তা বলা যাচ্ছে না।
জার্মানির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনের শুরুতে হুইটসুন সরকারি ছুটির সময় জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য বাল্টিক এবং উত্তর সাগর উপকূল অভিমুখী অসংখ্য আঞ্চলিক ট্রেনে এত ভিড় ছিল যে বহু যাত্রীকে শেষ পর্যন্ত স্টেশন থেকে ফিরে যেতে হয়েছে।
জার্মানির ছয় শতাধিক গণপরিবহন কর্তৃপক্ষ ও কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব জার্মান ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিজ (ভিডিভি) বলছে, যাত্রীর চাপ সামলাতে কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। চাপ সামলাতে নতুন বাস ও ট্রেন চালু করতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে কর্মীর। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলানোর মতো স্টাফ এই মুহূর্তে তাদের হাতে নেই।