অধিকার বঞ্চিত চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির চলমান কর্মসূচি দুইদিনের জন্য সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ এবং সোমবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। এই সময়ের মধ্যে মালিকেরা দাবি না মানলে ১৬ তারিখ থেকে পুনরায় কর্মবিরতি শুরু হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
আজ শনিবার মৌলভীবাজারের ৯২টিসহ দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকেরা অংশ নেন এ ধর্মঘটে। এ সময় তারা আশপাশে প্রতিটি হাটবাজার ও প্রধান সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ করেন।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি পংকজ কন্দ জানান, মালিক পক্ষের টালবাহানায় চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দ্বিবার্ষিক চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৯ মাস হলো। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার জেলার ৯২টি চা বাগান, সারাদেশের ১৬৭টি চা বাগান ও ফাঁড়ি বাগান সহ মোট ২৪১টি চা বাগানে ২ ঘণ্টা করে ৪ দিনের কর্মবিরতি শেষে শনিবার পূর্ণ দিবস পালন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৪ আগস্ট রোববার সাপ্তাহিক ছুটি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এ জন্য এ দুদিন কর্মসূচি শিথিল করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ দাবি না মানলে ১৬ আগস্ট থেকে লাগাতার কঠোর ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।
এদিকে আজ সকাল থেকে জেলার প্রতিটি চা বাগানে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলনরত চা-শ্রমিক ইউনিয়নের লাগাতার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়। চা-শ্রমিকেরা বাগানের সব কাজ বন্ধ করে দাবি আদায়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশসহ চা বাগানের বিভিন্ন জায়গার রাস্তাঘাটে অবস্থান নেন তারা।
চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় আন্দোলনে যাওয়া শ্রমিকদের উচিত হয়নি। এটি শ্রম আইনেরও পরিপন্থী। চায়ের এই ভরা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকলে মালিক-শ্রমিক উভয়েরই ক্ষতি হবে। আমরা আশা করব শ্রমিকেরা দ্রুত কাজে ফিরবেন।