‘সরকার দ্রুত পণ্যের দাম কমানোর চেষ্টা করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা স্বীকার করছি যাদের আয় কম তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তবে সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তবে বিশ্ব পরিস্থিতি খুব খারাপ।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ধান, গমসহ ২৮টি ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা ও জোগান নিরূপণে পরিচালিত গবেষণার চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার বক্তৃতা করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারের ঘাটতি নেই। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চাহিদার অতিরিক্ত মজুত রয়েছে। আগামী বোরো মৌসুমের জন্য সার সংগ্রহ করছি। তারপরও কিছু ডিলার ও অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী বেশ চতুর। তারা আমনের উৎপাদন কমবে জেনে ইতোমধ্যে চাল মজুত করছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, খরা আর অনাবৃষ্টিতে এ বছর আমন রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বেশি। গ্রামগঞ্জে অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। সেচ সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেরিতে লাগানো আমনের ক্ষেত এখন সেচের অভাবে ফেটে চৌচির। আমন নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, গতকাল ক্যাবিনেটে এ নিয়ে অলোচনা হয়েছে। বলেছি, আগস্টের পরে ধান রোপণ করলে উৎপাদন কমে যাবে। আগামী ১৫ দিন আমনের সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সেটি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে রাতে সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

২৮টি ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা ও জোগান নিয়ে গবেষণা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের স্টাডি খুবই প্রয়োজন। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে চাল, গমসহ বিভিন্ন ফসলের চাহিদা ও উৎপাদনের পরিসংখ্যান থাকলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা সম্ভব হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন