বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকধালা থেকে দোছড়ি পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের ভূখণ্ডে প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। এতে সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তের চেরারমাঠসহ কয়েকটি এলাকার মানুষ আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পাশের গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন।
বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে গোলাগুলির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এতে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি হওয়ায় চেরারমাঠেও কিছু কিছু মেশিনগানের গুলি এসে পড়ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত গোলাগুলি চলে।
চেরারমাঠে প্রায় ২০০ পরিবারের বসবাস। তারা পাশের পাড়ায় সরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় গোলাগুলি ও চেরারমাঠ, ফুলতলি, জামছড়ি এলাকার লোকজন সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও চেরারমাঠ এলাকার বাসিন্দা ফরিদুল আলম বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে পাড়ার লোকজনকে আপাতত নিরাপদ দূরত্বে সরে থাকতে বলা হয়েছে। গোলাগুলি কমে গেলে লোকজন আবার বাড়ি ফিরবেন।
নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, সীমান্তের ৪৩ পিলার থেকে দোছড়ি ইউনিয়নের ৫০ পিলার পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। এ জন্য তার ইউনিয়নের চেরারমাঠ, ফুলতলি, জামছড়িসহ কয়েকটি সীমান্তঘেঁষা পাড়ার লোকজনকে সরিয়ে থাকতে বলা হয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে ওই এলাকার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের সীমান্তচৌকিগুলো বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) দখলে ছিল।