সাকাচৌ’র বাড়ির ফটকে ‘রাজাকার হিল’ ব্যানার টাঙালেন মুক্তিযোদ্ধারা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সাকাচৌ’র (সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী) চট্টগ্রামের বাড়ি গুডস হিল ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। বাড়ির মূল ফটকে নাম বদলে ‘রাজাকার হিল’ ব্যানার টাঙিয়ে দেন তারা।

সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, গুডস হিলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এটি মূলত নির্যাতনকেন্দ্র ছিল। তাই বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করতে হবে। বাড়ির ফটকে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরা।

universel cardiac hospital

আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড। সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সমাবেশে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের স্ত্রী-সন্তানদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাসহ পাঁচদফা দাবি জানানো হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত হন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন শাখার কয়েক শ নেতা-কর্মী। তাঁরা ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’ স্লোগান দেন।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম নগর ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ, কাজী নুরুল আবছার ও নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিএনপির গণসমাবেশে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাকাচৌ’র ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী তার বাবাকে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করে স্লোগান দেন। রাজাকারের সন্তান হয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। আমরা মনে করি, এটা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানজনক। তার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হবে।

হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদে তাকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন মোজাফফর আহমেদ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম নগর শাখার আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ। উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ছৈয়দুল হক চৌধুরী, নুর উদ্দিন প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের নগর শাখার নেতা ওমর ফারুক ও কামরুল হুদা।

শেয়ার করুন