ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি, সরকার এ দেশে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।’ আজ বুধবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে সংলাপের তাগিদ দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অবস্থান আমি বুঝি। আমি মনে করি, আমার সঙ্গে আপনাদের চিন্তা না জানিয়ে আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলেরই পর্যবেক্ষণ ও অংশ নেওয়া উচিত। আর যে কোনো সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক সংলাপ প্রয়োজন। অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের সুযোগ আছে। তবে দুঃখজনকভাবে এটি এখন হচ্ছে না।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে চাই। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শুধু সামরিক সরঞ্জাম কেনাবেচার বিষয় নয়, এটা কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়ও। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে ড্রোন, টহল নৌযান ইত্যাদি কিনেছে। সামরিক সরঞ্জাম তৈরি যৌথ উদ্যোগেও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা-আঙ্কারা সম্পর্কে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। এটা নিয়ে আমি প্রায়ই গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হই। সেই ভুল-বোঝাবুঝির অবসানও হয়েছে। আমরা সে সময় বন্ধুদেশ হিসেবে শুধু আমাদের মতামত দিয়েছিলাম। এখন আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে আস্থা রয়েছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।